বিকাশ স্বর্নকার,বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার সোনাতলায় মাঠে মাঠে এখন চলছে (ইরি)বোরো ধানের চারা রোপণের মহা উৎসব। তবে শীতের তীব্রতায় কারণে ধান রোপনে কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। সকাল থেকে শুরু করে দিনভর মাঠে চলছে কৃষকদের মহা ব্যস্ততা। জমিতে পানি সেচ, হালচাষ, বীজতলা থেকে চারা তুলে রোপণ সব কিছু মিলে একেবারে মহা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
এ উপজেলায় বেশিরভাগ কৃষক এরই মধ্যে শেষ করেছে জমি হালচাষ। কৃষকরা জানান,পৌষ মাসের শেষের দিকে বোরো ধান রোপণের কাজ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এবার ধান রোপন মৌসুমের শুরুতে প্রচন্ড শীত সেই সাথে ঘনকুয়াশার কারণে পানির মধ্যে মাঠে নেমে ধান রোপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।সে কারণে চলতি মৌসুমে বোরো ধান রোপণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে এখন কৃষকেরা পুরো দমে চালাছে চারা রোপণের কাজ।
উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের মধুপুরের নিখিল চন্দ্র রায় জানান,কিছু দিন আগেও প্রচন্ড শীত আর ঘনকুয়াশার কারণে দুশ্চিন্তায় ছিলাম তবে শীত কমার সম্ভাবনা কম তাই এর মধ্যেই জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে হচ্ছে। দিগদাইড় ইউনিয়নের চিল্লিপাড়ার দুলাল চন্দ্র রায় জানান,এবছর জমি রোপণে ভালোই দেরি হয়ে গেলো এ জন্য তিনিও শীতকে দায়ী করলেন।তিনি আরো বলেন,এবারে জমিতে ধান রোপণের প্রতি বিঘা খরচ হচ্ছে প্রায় ছ’হাজার টাকা পাশাপাশি এবার শৈত্যপ্রবাহের কারণে কৃষি শ্রমিকের সংকট চরমে এবং বেশি টাকা দিয়েও ঠিকমত শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের বোরো মৌসুমে ধান রোপন, পরিচর্যা সহ সব ধরনের পরামর্শ প্রতিনিয়তই দেওয়া হচ্ছে। ইরি (বোরো) মৌসুমে ১০হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে এবার নতুন কিছু ধান রোপনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্রি-৮৯/৮১,(বঙ্গবন্ধু)১০০ সহ বে-সরকারি এসিআই কোং ০৬ জাত। তবে তিনি আরো বলেন এই নতুন জাতের ধান রোপণ সহ ঠিকমত পরিচর্যা করলে প্রতি বিঘাতে ৩০থেকে ৪০ মন পর্যন্ত ফসল ফলানো সম্ভব