বিকাশ স্বর্নকার, বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়া সোনাতলা যমুনার তীরবর্তী বৃহত্তর চরাঞ্চল জুড়ে লাল মরিচের চাষ করেছে কৃষক। ফলে প্রখর রৌদ্রে মরিচ শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক কৃষানীরা। তবে এ উপজেলার চরাঞ্চলের শুকনা মরিচের চাহিদা রয়েছে দেশব্যপী। যদিও কথায় আছে ঝাল মরিচের একমাত্র জেলাই হলো বগুড়া।
এদিকে সকালে চরাঞ্চলে গেলে যেদিকে দুচোখ যাবে লাল মরিচ যেন চরের সাদা বালুকণা গুলো লালে রঙিন হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানিয়েছেন। এ বছর চরাঞ্চল সহ এ উপজেলায় ৯১০হেক্টর জমিতে দেশী ও হাইব্রিড জাতের মরিচের চাষ হয়েছে। জাতগুলো বিজলী প্লাস,বিজলী প্লাস টুয়েন্টি টুয়েন্টি,ছনিক এছাড়াও বিভিন্ন জাতের মরিচ রয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান বন্যায় চরাঞ্চল পানিতে তলিয়ে থাকে পরবর্তীতে জেগে উঠা চরে মরিচ চাষের মাধ্যমে বন্য সময়ের ক্ষতিটা পুষিয়ে উঠে চরবাসীর। চরবাসীদের লাভ জনক আবাদ মরিচ হলেও পাশাপাশি ভুট্টা,বাদাম,পাট চাষ করে। পাকুল্লা খাটিয়ামাড়ি চরের মৃত আবুল খাঁর ছেলে সাহাদত খাঁ বলেন,৯বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। লাল মরিচ শুকিয়ে শুকনা মরিচ হিসেবে বিক্রি করি তবে খরচ বাদে ৫/৬ লাখ টাকা ঘরে আসে।শিমুলতাইর চরের কৃষক আইয়ুব আলী বলেন,৪বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। বর্তমানে লাল মরিচ ৭ থেকে ৮ দিনের রৌদ্রে শুকিয়ে যায় তবে শুকালে মরিচ প্রতি কেজিতে ৩০০গ্ৰাম টিকে।
এবার মরিচের প্রতি মণ বাজার দর লাল টোপা ১৮শ থেকে ২হাজার টাকা এবং শুকনা মরিচ ১২হাজার থেকে ১৬হাজার টাকা।এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন,সোনাতলার চরাঞ্চলের মরিচের খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে।
বিশেষ করে চরাঞ্চলের কৃষক তুলনামূলক মরিচ বেশি চাষ করে আর্থিকভাবেও ব্যপক লাভবান হচ্ছে। এ উপজেলার কৃষক কাঁচা মরিচ,লাল টোপা মরিচ এবং শুকনা মরিচ বিক্রির মাধ্যমে বাজারের চাহিদা মেটায়। আমরা আশা করছি এবার প্রায় ২২/২৫ কোটি টাকার মরিচ বিক্রির সম্ভাবনা আছে।