০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

বগুড়ায় প্রতিপক্ষের মারপিটে ৪জন গুরুত্বর আহত,থানায় মামলা

বিকাশ স্বর্ণকার, বগুড়া প্রতিনিধি
বিকাশ স্বর্ণকার, বগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় প্রতিপক্ষের মারপিটে ৪জন গুরুত্বর আহত,থানায় মামলা

বগুড়া সোনাতলায় জমাজমি সংক্রান্ত বিবাদে প্রতিপক্ষের মারপিটে ৪জন গুরুত্বর আহত হয়ে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে এরমধ্যে দুজনের শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়াই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

ঘটনাটি উপজেলার দাউদপুরের আগাবড়গাছা গ্ৰামে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আলম বেপারী বাদি হয়ে মৃত শবদুল আকন্দের ছেলে মোঃ ফুল মিয়া সহ আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দিয়েছেন।আলম বেপারী আগাবড়গাছা গ্ৰামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে।

আহতরা হলেন,এই মামলার বাদি আলম বেপারীর বোন মোছাঃ জোসনা বেগম,ছেলে মোঃ শামীম মিয়া,ভাই মোঃ জুয়েল হোসেন সহ বাদির স্ত্রী।স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানা যায়,পার্শ্ববর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার কুকিকালিদাস গ্ৰামের মৃত শবদুল আকন্দ এর ছেলে মোঃ ফুল মিয়া গংদের সাথে আলম বেপারীর জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

এমতাবস্থায় গত ১৩ই আগষ্ট বাদির অনুপস্থিতিতে আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে বাদির বাগানের ৩৫টি বড় বড় মেহগনি গাছ কেটে ফেলে যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২লাখ টাকা বলে জানান বাদি আলম। সেসময় বাদি তার বাগানের গাছ কাটতে প্রতিপক্ষদের নিষেধ করলেও তারা কর্ণপাত করেনা।

একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ ফুল মিয়ার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন এজাহার নামীয় আসামি সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে রামদা,চাইনিজ কুরাল,বামির্জ চাকু,হাসুয়া,এসএস পাইপ,লোহার রড সহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাদির লোকজনের উপর ঝাপিয়ে পড়ে।

তাদের হামলায় বাদির বোন মোছাঃজোসনা বেগম,ছেলে মোঃ শামীম মিয়া,ভাই মোঃ জুয়েল হোসেন ও বাদির স্ত্রী গুরুত্বর আহত জখম প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বাঁচর আকুতি জানায়। এঅবস্থায় আশপাশের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। বাদি আলম বেপারী জানান,তাদের আতর্কিত হামলায় আমার বোন ও ছেলের মাথার মাঝখানে লাগিয়া হাড্ডি পর্যন্ত কাটিয়া যাওয়াই প্রচুর পরিমাণে রক্ত ক্ষরণ হয় সে জন্য তারা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

এই মামলায় হাবিবুর,রুবেল,কুদ্দুস,মমিন ছাড়াও সহ আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদি আলম। বাদি আলম বলেন আসামিরা প্রতিনিয়তই আমাদেরকে মামলা উঠিয়ে নিতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

মামলার বিষয় নিশ্চিত করে সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা(ওসি)মিলাদুন-নবী জানান,আলম বেপারীর দেয়া এজাহার গ্ৰহন করে রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্ৰেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৮:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
৬৬

বগুড়ায় প্রতিপক্ষের মারপিটে ৪জন গুরুত্বর আহত,থানায় মামলা

আপডেট: ০৮:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

বগুড়ায় প্রতিপক্ষের মারপিটে ৪জন গুরুত্বর আহত,থানায় মামলা

বগুড়া সোনাতলায় জমাজমি সংক্রান্ত বিবাদে প্রতিপক্ষের মারপিটে ৪জন গুরুত্বর আহত হয়ে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে এরমধ্যে দুজনের শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়াই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

ঘটনাটি উপজেলার দাউদপুরের আগাবড়গাছা গ্ৰামে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আলম বেপারী বাদি হয়ে মৃত শবদুল আকন্দের ছেলে মোঃ ফুল মিয়া সহ আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দিয়েছেন।আলম বেপারী আগাবড়গাছা গ্ৰামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে।

আহতরা হলেন,এই মামলার বাদি আলম বেপারীর বোন মোছাঃ জোসনা বেগম,ছেলে মোঃ শামীম মিয়া,ভাই মোঃ জুয়েল হোসেন সহ বাদির স্ত্রী।স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানা যায়,পার্শ্ববর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার কুকিকালিদাস গ্ৰামের মৃত শবদুল আকন্দ এর ছেলে মোঃ ফুল মিয়া গংদের সাথে আলম বেপারীর জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

এমতাবস্থায় গত ১৩ই আগষ্ট বাদির অনুপস্থিতিতে আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে বাদির বাগানের ৩৫টি বড় বড় মেহগনি গাছ কেটে ফেলে যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২লাখ টাকা বলে জানান বাদি আলম। সেসময় বাদি তার বাগানের গাছ কাটতে প্রতিপক্ষদের নিষেধ করলেও তারা কর্ণপাত করেনা।

একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ ফুল মিয়ার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন এজাহার নামীয় আসামি সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে রামদা,চাইনিজ কুরাল,বামির্জ চাকু,হাসুয়া,এসএস পাইপ,লোহার রড সহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাদির লোকজনের উপর ঝাপিয়ে পড়ে।

তাদের হামলায় বাদির বোন মোছাঃজোসনা বেগম,ছেলে মোঃ শামীম মিয়া,ভাই মোঃ জুয়েল হোসেন ও বাদির স্ত্রী গুরুত্বর আহত জখম প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বাঁচর আকুতি জানায়। এঅবস্থায় আশপাশের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। বাদি আলম বেপারী জানান,তাদের আতর্কিত হামলায় আমার বোন ও ছেলের মাথার মাঝখানে লাগিয়া হাড্ডি পর্যন্ত কাটিয়া যাওয়াই প্রচুর পরিমাণে রক্ত ক্ষরণ হয় সে জন্য তারা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

এই মামলায় হাবিবুর,রুবেল,কুদ্দুস,মমিন ছাড়াও সহ আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদি আলম। বাদি আলম বলেন আসামিরা প্রতিনিয়তই আমাদেরকে মামলা উঠিয়ে নিতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

মামলার বিষয় নিশ্চিত করে সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা(ওসি)মিলাদুন-নবী জানান,আলম বেপারীর দেয়া এজাহার গ্ৰহন করে রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্ৰেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।