১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

যশোরের শার্শার অগ্রভুলোট সীমান্তে ইছামতী নদীতে ১৬ কেজি ওজনের পাঙাশ মাছ ধরা পড়েছে 

এস এম স্বপন, বেনাপোল প্রতিনিধি
এস এম স্বপন, বেনাপোল প্রতিনিধি

যশোরের শার্শার অগ্রভুলোট সীমান্তে ইছামতী নদীতে ১৬ কেজি ওজনের পাঙাশ মাছ ধরা পড়েছে 

যশোরের শার্শা উপজেলার অগ্রভুলোট সীমান্তে ইছামতি নদীতে ১৬ কেজি ওজনের একটি পাঙাশ মাছ ধরা পড়েছে। রবিবার সকালে অগ্রভুলোট গ্রামের বিল্লাল হোসেন ও আব্দুর রহিম নামে দুই বন্ধু মিলে ১৬ কেজি ওজনের এই পাঙ্গাস মাছটি সীমান্ত সংলগ্ন ইছামতী নদী থেকে শিকার করে। 

মাছ শিকারী বিল্লাল হোসেন (২৫) অগ্রভুলোট গ্রামের রুহুল কুদ্দুসের ও আব্দুর রহিম (২২) একই গ্রামের সরোয়ার হোসেনের ছেলে। তারা দুজনে দুজনের পরস্পরের বন্ধু।

শীতের আগমনে পানি কমে যাওয়ায় ইছামতি নদীতে ৫/৭ কেজি ওজনের রুই, কাতলা, সিলভার ও পাঙাশ জাতের মাছ প্রচুর পরিমানে ধরা পড়ছে। তবে এই প্রথম ১৬ কেজি ওজনের একটি পাঙাশ মাছ ধরা পড়লো।

বিল্লাল হোসেন জানায়, তারা সকালে নদীতে হুইল ফেলে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর বড়সিতে টান অনুভব করে। বড় ধরনের একটা কিছু হতে পারে ভেবে জাঙলি নিয়ে নদীতে নেমে পড়ে। ও মাছটি ডাঙায় তোলে।

পরে গ্রামের শিপন হোসেনের দোকানে মাছটি ওজন দিলে ১৫ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজন হয়।  দোকানদার শীপন হোসেন জানান এতে বড় পাঙাশ আমি কখনো দেখিনি। তাই আমরা কয়জন মিলে ৩০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কিনে নিয়েছি।

বিল্লাল হোসেন জানায়, তারা প্রতিদিনই হুইল নিয়ে ইছামতী নদীত মাছ শিকার করতে যায়। এই প্রথমবার তাদের হুইলে ১৬ কেজি ওজনের পাঙাশ ধরা পড়ল। তারা বলে এবছর নদিতে প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পড়ছে।

শার্শা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ বালা জানান,এ মাছগুলো উজানের পানিতে ভেসে আসতে পারে।তবে এ উপজেলার কোন মৎস্য খামার বা পুকুরে এত বড় মাছ চাষ হয়না। এবং এতো বড় মাছের ঘের ভেসে গেছে এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। মাছ গুলো ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে পারে বলে তিনি জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১০:০২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
৩৪

যশোরের শার্শার অগ্রভুলোট সীমান্তে ইছামতী নদীতে ১৬ কেজি ওজনের পাঙাশ মাছ ধরা পড়েছে 

আপডেট: ১০:০২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

যশোরের শার্শার অগ্রভুলোট সীমান্তে ইছামতী নদীতে ১৬ কেজি ওজনের পাঙাশ মাছ ধরা পড়েছে 

যশোরের শার্শা উপজেলার অগ্রভুলোট সীমান্তে ইছামতি নদীতে ১৬ কেজি ওজনের একটি পাঙাশ মাছ ধরা পড়েছে। রবিবার সকালে অগ্রভুলোট গ্রামের বিল্লাল হোসেন ও আব্দুর রহিম নামে দুই বন্ধু মিলে ১৬ কেজি ওজনের এই পাঙ্গাস মাছটি সীমান্ত সংলগ্ন ইছামতী নদী থেকে শিকার করে। 

মাছ শিকারী বিল্লাল হোসেন (২৫) অগ্রভুলোট গ্রামের রুহুল কুদ্দুসের ও আব্দুর রহিম (২২) একই গ্রামের সরোয়ার হোসেনের ছেলে। তারা দুজনে দুজনের পরস্পরের বন্ধু।

শীতের আগমনে পানি কমে যাওয়ায় ইছামতি নদীতে ৫/৭ কেজি ওজনের রুই, কাতলা, সিলভার ও পাঙাশ জাতের মাছ প্রচুর পরিমানে ধরা পড়ছে। তবে এই প্রথম ১৬ কেজি ওজনের একটি পাঙাশ মাছ ধরা পড়লো।

বিল্লাল হোসেন জানায়, তারা সকালে নদীতে হুইল ফেলে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর বড়সিতে টান অনুভব করে। বড় ধরনের একটা কিছু হতে পারে ভেবে জাঙলি নিয়ে নদীতে নেমে পড়ে। ও মাছটি ডাঙায় তোলে।

পরে গ্রামের শিপন হোসেনের দোকানে মাছটি ওজন দিলে ১৫ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজন হয়।  দোকানদার শীপন হোসেন জানান এতে বড় পাঙাশ আমি কখনো দেখিনি। তাই আমরা কয়জন মিলে ৩০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কিনে নিয়েছি।

বিল্লাল হোসেন জানায়, তারা প্রতিদিনই হুইল নিয়ে ইছামতী নদীত মাছ শিকার করতে যায়। এই প্রথমবার তাদের হুইলে ১৬ কেজি ওজনের পাঙাশ ধরা পড়ল। তারা বলে এবছর নদিতে প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পড়ছে।

শার্শা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ বালা জানান,এ মাছগুলো উজানের পানিতে ভেসে আসতে পারে।তবে এ উপজেলার কোন মৎস্য খামার বা পুকুরে এত বড় মাছ চাষ হয়না। এবং এতো বড় মাছের ঘের ভেসে গেছে এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। মাছ গুলো ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে পারে বলে তিনি জানান।