বিজয় চন্দ্র সরকার, জেলা প্রতিনিধি-(কিশোরগঞ্জ)
নিম্ন, মধ্য, আয়ের মানুষ এখন জীবন মরন লড়াইয়ে লিপ্ত। বেড়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি তেল, ঔষধ, বাড়ি ভাড়া গাড়ী ভাড়া তরকারি মাছ মাংস ডিম সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের, কৃষক শ্রমিক কর্মচারী পর্যায়ের মানুষের আয় রোজগার তো বাড়েনি? বরং কর্মহীন হয়ে পরছে লক্ষ লক্ষ মানুষ! এক মহা বিপর্যয়ের পথে মানুষ, ও মানবতা। এ বিপর্যয়ে দেশের হতদরিদ্র মানুষের পাশে আমাদের সকল কে দাড়াতে হবে। ইদানীং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে লাগাম ছাড়া পাগলা ঘোড়ার মত।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এ দেশের অতিপরিচিত এক রূপ। করোনা মহামারি আসার পর পুরো বিশ্বেই স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে, তবে এই হার যেন বাংলাদেশে আকাশচুম্বী। দেড় বছর করোনার ধকল সামলে ওঠার আগেই নতুন করে বিপাকে পড়ছে স্বল্প ও মধ্য আয়ের সাধারণ পেশার মানুষ। কয়েক মাস ধরেই ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম। বর্তমানে এমন কোনো পণ্য পাওয়া যাবে না, যার দাম বৃদ্ধি পায়নি। সাধারণের ব্যবহার্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। বলাবাহুল্য, এখন বেশির ভাগ দ্রব্যের মূল্য ক্রেতাসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।
নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ যা উপার্জন করছে তার পুরোটাই জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদির জন্য ব্যয় করার মতো অর্থ তাদের হাতে অবশিষ্ট থাকছে না। মনে হয়, নিম্ন ও মধ্য আয়ের সাধারণ মানুষকে মারার আরেক নাম দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি।