এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা):
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ও আশপাশ এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে গড়ে তোলা আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির জায়গা নিয়ে কুচক্রী মহলের অপতৎপরতার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১ টায় কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ৭১ সালের রণাঙ্গনের সম্মুখযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আমির আলী সরদার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,কপিলমুনি বাজারের মধ্যভাগে পাইকারি তরকারি হাটা সংলগ্ন “আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতি’র” জায়গা। যেখানে আমাদের অফিস ও মার্কেট অবস্থিত। দানবীর রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু বাজার প্রতিষ্ঠা করতে বহু জায়গা ক্রয় করে তা মানুষের কল্যাণে দান করেন। বাজার প্রসারিত করতে বিভিন্ন সময় মানুষের কাছ থেকে সম্পত্তি ক্রয় করেন। সে অনুযায়ী মালিক কোনাই কারিকরের নিকট থেকে নাছিরপুর মৌজায় ৬৪ নং খতিয়ানে ৪৩৫ দাগে ১.০৩ শতক জমি জৈষ্ঠ্যপুত্র যমুনা বিহারী সাধুর নামে ক্রয় করেন।
যা ১৯৬২ সালে সেটেলমেন্ট উক্ত সম্পত্তি যমুনা বিহারী সাধুর নামে রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত করে। এরপর যমুনা সাধু ভারতে স্থায়ী বসবাস শুরু করলে বা তার অনুপস্থিতিতে ১৯৬২ সালে সরকার অর্পিত হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়। এই অর্পিত সম্পত্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম চলমান। ১৯৭৭ সালে কাজী মাহমুদ হোসেন দিং একটি তঞ্চকতাপুর্ণ দলিলে কথিত ওয়ারেশদের নিকট থেকে পেয়েছেন বলে দাবি করে আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত তা না মঞ্জুর করেন।
পরবর্তীতে আপীল মামলায় একতরফা একটি রায় ডিগ্রি পায় তারা। এমতাবস্থায় অর্পিত সম্পত্তির অনুকূলে কিন্ডার গার্ডেন স্কুল, মসজিদ, কে কে এস পিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একতরফা রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রীট করে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দাবি করেন। রীট পিটিশন নং ১৫০৪৪/২২। মহামান্য হাইকোর্ট উক্ত রায় ডিগ্রির কার্যক্রম স্থগিত করে স্থিতিবস্থা জারী করেন। বর্তমানে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণসহ কার্যক্রম করার লক্ষে প্রতিপক্ষ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন বলে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন। শুধু তাই নয়, কতিপয় মুক্তিযোদ্ধার সহযোগিতা নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়ে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।