০৪:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক

এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম থেকে:

প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকার টু সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)-এর আওতায় এই আমদানি কার্যক্রম চালু হয়েছে।

চুক্তির অধীনে মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে। এর প্রথম চালান হিসেবে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম নিয়ে ‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ নামের জাহাজটি শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এসে পৌঁছেছে।

তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)-এর মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী এই গম আমদানি কার্যক্রম চলছে। জাহাজে থাকা গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ৫৬ হাজার ৯৫৯ টন গমের মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭০ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং ২২ হাজার ৭৮৯ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের কারণে দীর্ঘদিন আমদানি কার্যক্রমে জটিলতা ছিল। তবে শুল্ক ছাড় বা হ্রাসের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের পদক্ষেপ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

চলতি বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বছরে ৭ লাখ টন গম আমদানির জন্য সমঝোতা স্মারক সই হয়। ঢাকায় এ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল—দেশের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিমান ও সরবরাহ নিশ্চিত রাখাই এ উদ্যোগের লক্ষ্য।

এদিকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি পণ্য আমদানিতে আগ্রহী। এর মাধ্যমে মার্কিন শুল্ক কমে এলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য এবং দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব আরও জোরদার হবে।

বৈঠকে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা তুলা, সয়াবিনসহ অন্যান্য মার্কিন কৃষিপণ্য আমদানির পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেন।

বর্তমানে ভারত, রাশিয়া, বেলারুসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে গম আমদানি করা হলেও এবার প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকারি পর্যায়ে গম আমদানি শুরু হওয়ায় তা বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৫:৫০:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
৩৬

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ

আপডেট: ০৫:৫০:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম থেকে:

প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকার টু সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)-এর আওতায় এই আমদানি কার্যক্রম চালু হয়েছে।

চুক্তির অধীনে মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে। এর প্রথম চালান হিসেবে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম নিয়ে ‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ নামের জাহাজটি শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এসে পৌঁছেছে।

তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)-এর মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী এই গম আমদানি কার্যক্রম চলছে। জাহাজে থাকা গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ৫৬ হাজার ৯৫৯ টন গমের মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭০ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং ২২ হাজার ৭৮৯ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের কারণে দীর্ঘদিন আমদানি কার্যক্রমে জটিলতা ছিল। তবে শুল্ক ছাড় বা হ্রাসের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের পদক্ষেপ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

চলতি বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বছরে ৭ লাখ টন গম আমদানির জন্য সমঝোতা স্মারক সই হয়। ঢাকায় এ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল—দেশের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিমান ও সরবরাহ নিশ্চিত রাখাই এ উদ্যোগের লক্ষ্য।

এদিকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি পণ্য আমদানিতে আগ্রহী। এর মাধ্যমে মার্কিন শুল্ক কমে এলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য এবং দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব আরও জোরদার হবে।

বৈঠকে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা তুলা, সয়াবিনসহ অন্যান্য মার্কিন কৃষিপণ্য আমদানির পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেন।

বর্তমানে ভারত, রাশিয়া, বেলারুসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে গম আমদানি করা হলেও এবার প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকারি পর্যায়ে গম আমদানি শুরু হওয়ায় তা বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।