০৯:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিলম্বে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি, ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ

রিয়াজ রহমান, সুনামগঞ্জ থেকে:

সুনামগঞ্জ জেলার হাওড় বেষ্টিত উপজেলা জগন্নাথপুর। এই উপজেলার বেশীরভাগ মানুষ প্রবাসী। এই উপজেলাকে প্রবাসী অধ্যুষিত উপজেলা বলা হলেও শিক্ষাক্ষেত্রে এখনও অনেকটা পিচনে রয়েছে জেলার অন্যান্য উপজেলা থেকে। প্রাথমিক শিক্ষার মান খুবই খারাপ যার প্রমান মিলছে জেলা মেধা যাচাই পরীক্ষার ফলাফলে।

অনুসন্ধানে জানাযায়, উপজেলার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সময়মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিভাবক ও স্থানীয়দের অভিযোগ।

বিদ্যালয় শুরুর নির্ধারিত সময় সকাল ৯টা হলেও অনেক শিক্ষক ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টার এমনকি ১১ টায় বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। এর ফলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে নির্দিষ্ট সময়ে পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা জানান, শিক্ষকরা বিদ্যালয় এলাকার বাহিরে বসবাস করার কারনে নিয়মিত দেরি করে বিদ্যালয়ে আসেন। যার ফলে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে অযথা সময় নষ্ট করছে।

এতে করে প্রাথমিকনশিক্ষার মান দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাগন নিজের ছেলে- মেয়েদের মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য এবং নিজেদের সুবিধার জন্য বিভাগীয় শহর সিলেট, জেলা শহর সুনামগঞ্জ এবং জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে বসবাস করেন। যার কারনে সময় মত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয়না। বিশেষ করে পৌর শহরের বাহিরের বিদ্যালয় গুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে কোন অবস্থায় সময়মত উপস্থিত সম্ভব নয়।

নির্ধারিত সময়ে পাঠদান শুরু না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এ পরিস্থিতি চলতে থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার আগ্রহ কমে যাচ্ছে বলে অভিভাবকরা জানান।

একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা সময়মতো সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাই, কিন্তু শিক্ষকরা দেরিতে আসেন। এতে বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে।”
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মাহাবুুুবুল আলম জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই নিয়মিত সময়মত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এলাকাবাসীর দাবি, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে কর্তৃপক্ষের তদারকি বাড়ানো জরুরি।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৪:১৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
১৯

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিলম্বে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি, ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম

আপডেট: ০৪:১৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

রিয়াজ রহমান, সুনামগঞ্জ থেকে:

সুনামগঞ্জ জেলার হাওড় বেষ্টিত উপজেলা জগন্নাথপুর। এই উপজেলার বেশীরভাগ মানুষ প্রবাসী। এই উপজেলাকে প্রবাসী অধ্যুষিত উপজেলা বলা হলেও শিক্ষাক্ষেত্রে এখনও অনেকটা পিচনে রয়েছে জেলার অন্যান্য উপজেলা থেকে। প্রাথমিক শিক্ষার মান খুবই খারাপ যার প্রমান মিলছে জেলা মেধা যাচাই পরীক্ষার ফলাফলে।

অনুসন্ধানে জানাযায়, উপজেলার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সময়মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিভাবক ও স্থানীয়দের অভিযোগ।

বিদ্যালয় শুরুর নির্ধারিত সময় সকাল ৯টা হলেও অনেক শিক্ষক ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টার এমনকি ১১ টায় বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। এর ফলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে নির্দিষ্ট সময়ে পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা জানান, শিক্ষকরা বিদ্যালয় এলাকার বাহিরে বসবাস করার কারনে নিয়মিত দেরি করে বিদ্যালয়ে আসেন। যার ফলে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে অযথা সময় নষ্ট করছে।

এতে করে প্রাথমিকনশিক্ষার মান দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাগন নিজের ছেলে- মেয়েদের মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য এবং নিজেদের সুবিধার জন্য বিভাগীয় শহর সিলেট, জেলা শহর সুনামগঞ্জ এবং জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে বসবাস করেন। যার কারনে সময় মত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয়না। বিশেষ করে পৌর শহরের বাহিরের বিদ্যালয় গুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে কোন অবস্থায় সময়মত উপস্থিত সম্ভব নয়।

নির্ধারিত সময়ে পাঠদান শুরু না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এ পরিস্থিতি চলতে থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার আগ্রহ কমে যাচ্ছে বলে অভিভাবকরা জানান।

একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা সময়মতো সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাই, কিন্তু শিক্ষকরা দেরিতে আসেন। এতে বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে।”
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মাহাবুুুবুল আলম জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই নিয়মিত সময়মত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এলাকাবাসীর দাবি, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে কর্তৃপক্ষের তদারকি বাড়ানো জরুরি।