সোনাতলায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পাইকর গাছ কর্তন
বগুড়ার সোনাতলায় সরকারি জায়গায় একটি পাইকর গাছ কাটাকে কেন্দ্র এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় স্থানীয় জনতার মাঝে। ফলে বিক্ষুব্ধ জনতা ন্যায় বিচারের স্বার্থে গন স্বাক্ষর নিতে দেখা গেছে। ঘটনাটি উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের আড়িয়াঘাট ব্রিজ সংলগ্ন বাজারে। পাইকর গাছ কর্তনকারী ওই বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা সদর ইউনিয়নের মন্ডমালা গ্ৰামের চান মিয়া (কসাই) এর ছেলে মোঃ রুহুল আমিন।
তবে পথচারীদের প্রখর রৌদ্রের খরতাপ থেকে একটু ক্লান্তির কথা ভেবে চরবিশ্বনাথপুরের গাছ প্রেমিক নয়া মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা ও জাফিরুল ইসলাম ফাঁকা জায়গায় ওই পাইকর গাছটি লাগিয়েছিলেন বলে দাবি তাদের। গাছটির নিচে পথচারী সহ রিক্সা ভ্যান চালক ছায়ায় ক্লান্ত শরীর জিড়িয়ে নিতো।স্থানীয় অনেকেই জানান রুহুল আমিন দির্ঘদিন ধরে বাজারে দাপটের সহিত গরুর মাংস বিক্রি করে আসছে।
তবে গাছ কাটতে স্থানীয় অনেকেই বাঁধা দিলে রুহুল আমিন মাংস কাটার দা উঁচিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। প্রত্যক্ষদর্শী দু-তিন জন জানান আমরা ওই সময়ে গাছের কাছে যেতে সাহস পাইনি। পাশেই সবজি বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, রুহুল আমিন অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির তার সাথে প্রায়ত লোকজনের বাক-বিতণ্ডা লেগেই থাকতো।
মধুপুরের সিরাজুল ইসলাম,চরচকনন্দন এর শহিদুল ইসলাম সহ আরো অনেকেই প্রতিনিধিকে জানান,রুহুল আমিন কসাই সে প্রায়ত অসুস্থ্য ও রোগা গরুর মাংস বিক্রি করতো তবে এ বিষয়ে কিছু বললেই তাদের সাথে লাগতো ঝগড়া বিবাদ।
ফলে মাংস বিক্রেতা রুহুল আমিনকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে গন স্বাক্ষর নেন স্থানীয়রা। পাইকর গাছ কাটা সহ দা উঁচিয়ে লোকজনকে ভয়ভীতি দেখানো বিষয়টি স্বীকার করে রুহুল আমিন (কসাই) বলেন,এটা কোন ব্যাপার না একটি গাছ কেটেছি সেখানে দুটি গাছ লাগিয়ে দিবো। মধুপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন,ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে গাছটি জব্দ করে নিজ হেফাজতে রেখেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামাণিক জানান,গাছটি সরকারি অধিগ্ৰহনকৃত জায়গায়। আমি জানতে পেরেছি স্থানীয় একজন কেটেছে তবে গাছটি জব্দ করার জন্য নায়েব কে বলেছি।