বগুড়া প্রতিনিধিঃ
নৌকা প্রার্থীর সমর্থরা ঈগল প্রতিক সমর্থকদের উপর লাঠি, সোঠা, লোহার রড নিয়ে হামলা করলে ২জন ঈগল সমর্থক আহত হয় এবং পরবর্তীতে সোনাতলা থানায় মামলা হলে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলাম মতিন নামে একজনকে গ্ৰেফতার করে।
মোঃ রফিকুল ইসলাম মতিন উপজেলার জোরগাছা ইউনিয়নের জোরগাছা গ্ৰামের মোঃ আনিছুর রহমান সরকারের ছেলে। থানা ও মামলা সুত্রে জানাযায়,গত ৩১ডিসেম্বর রোববার দিনভর ঈগল সমর্থক রেজোয়ানল রিজভী হক, ইসমাইল হক সহ আরো কিছু সমর্থক প্রচার প্রচারণা শেষে রাত ১২টায দিকে ভেলুরপাড়ার চারমাথা নামক স্থানে এলে।
২০/২৫জন নৌকার সমর্থক ঈগল পাখি সমর্থকদের পথরোধ করে রিজভী ও ইসমাইলকে আটকায়। সে সময় ইসমাইল কৌশলে পালিয়ে গেলেও রিজভীকে বেধড়ক মারপিট করে নৌকা সমর্থকরা। এ সময় রিজভীকে স্থানীয় জনতা গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
সেখানে রিজভীর অবস্থার আরো অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার্ড করে বলে পরিবার সুত্রে জানা গেছে। ওই রাতে রিজভীর স্ত্রী নাহিদ নাসরিন সাথী বাদি হয়ে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজামান লিটন, মতিন সহ ৭জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২নং আসামি রফিকুল ইসলাম মতিনকে গ্ৰেফতার করে। তবে আরো জানাযায় যে,গত ২০১৬ইংতে সোনাতলা পৌর নির্বাচনে মতিন জোরগাছা থেকে এসে সন্ত্রাসী কায়দায় দলবল নিয়ে কামারপাড়া ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা ধাওয়া দিয়ে রফিকুল ইসলাম মতিনকে সে সময়ে গনধোলাই দেয়। এ বিষয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বলেন, রিজভীর স্ত্রী বাদি হয়ে ৭জনকে আসামি করে মামলা দেয়। এমামলায় আমরা অভিযান চালিয়ে মতিনকে গ্ৰেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে অন্যদের গ্ৰেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।