০৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামে সমন্বয়ক পরিচয়ে শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তাকে আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক

এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম থেকে:

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সহকারী সচিব ওসমান গণিকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে হেনস্তা ও আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশন এলাকায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দেওয়া কয়েকজন তরুণ এই ঘটনা ঘটায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায়।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, “সমন্বয়ক পরিচয়ে কয়েকজন তরুণ ওসমান গণির সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি তদন্তাধীন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জানা গেছে, ওসমান গণি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সহকারী সচিব এবং মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে শিক্ষা বোর্ডে দুর্নীতি ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে। ষোলশহর এলাকায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে থাকা কয়েকজন তরুণের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা ওসমানকে আটকে রাখে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগর যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন জানান, “মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন তিনি। রেলস্টেশনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়, পরে পুলিশ তাকে নিয়ে যায়।”

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে অফিস সহকারী হিসেবে ওসমান গণির চাকরি শুরু হয়। ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ, চেক জালিয়াতি ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে তিনি তিন দফা শাস্তি ভোগ করেছেন। তবে গত এপ্রিল মাসে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড তার সব শাস্তি প্রত্যাহার করে এবং কাটা বেতন-ভাতা বাবদ ১৫ লাখ টাকা ফেরত দেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৭:৫২:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
৬৩

চট্টগ্রামে সমন্বয়ক পরিচয়ে শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তাকে আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে

আপডেট: ০৭:৫২:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম থেকে:

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সহকারী সচিব ওসমান গণিকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে হেনস্তা ও আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশন এলাকায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দেওয়া কয়েকজন তরুণ এই ঘটনা ঘটায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায়।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, “সমন্বয়ক পরিচয়ে কয়েকজন তরুণ ওসমান গণির সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি তদন্তাধীন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জানা গেছে, ওসমান গণি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সহকারী সচিব এবং মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে শিক্ষা বোর্ডে দুর্নীতি ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে। ষোলশহর এলাকায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে থাকা কয়েকজন তরুণের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা ওসমানকে আটকে রাখে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগর যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন জানান, “মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন তিনি। রেলস্টেশনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়, পরে পুলিশ তাকে নিয়ে যায়।”

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে অফিস সহকারী হিসেবে ওসমান গণির চাকরি শুরু হয়। ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ, চেক জালিয়াতি ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে তিনি তিন দফা শাস্তি ভোগ করেছেন। তবে গত এপ্রিল মাসে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড তার সব শাস্তি প্রত্যাহার করে এবং কাটা বেতন-ভাতা বাবদ ১৫ লাখ টাকা ফেরত দেয়।