খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার হাট বাজারে শীতের পিঠার ব্যবসা জমজমাট
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার হাট বাজারে শীতের পিঠার ব্যবসা জমজমাট
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার হাট বাজারে শীতের পিঠা ব্যবসা জমজমাট, যেখানে বিভিন্ন ধরনের পিঠার পসরা নিয়ে বিক্রেতারা বসেছেন এবং ক্রেতাদের ভিড়ও দেখা যাচ্ছে।
বিশেষ করে সন্ধ্যায় বিভিন্ন মোড় ও ফুটপাতে গরম ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পাটিসাপটা ও অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী পিঠার দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়।
নতুন চালের সুগন্ধে চারপাশ ভরে ওঠে এবং ভাপা পিঠার ধোঁয়া ওঠা গরম স্বাদ নিতে নানা বয়সের মানুষ ভিড় করে। এই সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোও পিঠা উৎসবের আয়োজন করে থাকে।
উপজেলা শহর ফুটপাত, রাস্তার মোড় এবং হাট-বাজার গুলোতে এই পিঠার দোকানগুলো দেখা যায়। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে পিঠা বিক্রি ও খাওয়ার পালা। ভাপা পিঠা ছাড়াও চিতই, পাটিসাপটা, নকশি পিঠা, দুধপুলি, কুলি পিঠা এবং আরও অনেক ধরনের পিঠা পাওয়া যায়।
কিছু দোকানে ‘পিৎজা চিতই পিঠা’র মতো আধুনিক পিঠাও বিক্রি হয়। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেমন সরকারি মহিলা কলেজ, পিঠা উৎসবের আয়োজন করে, যেখানে শিক্ষার্থীরা ঐতিহ্যবাহী পিঠার পসরা সাজিয়ে বসে। শীতের পিঠা বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং এই সময়ে পিঠা খাওয়া একটি জনপ্রিয় রীতি।
ডুমুরিয়া বাস্টার্ড মির্জাপুর সড়ক মোড়ে আরও প্রায় এক মাস আগে পিঠা তৈরীর সরঞ্জম নিয়ে বসেছেন। তিনি বলেন, প্রায় চার বছর ধরে চিতই পিঠার ব্যবসা করে আসছি। শিতের মৌসুমে পিঠা বিক্রি করি। অন্য মৌসুমে ফলের ব্যবসা করে চলে জীবন জীবীকা।
তিনি বলেন, এখনও পুরোপুরি শিত আসেনি তাই প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার পিঠা। চাল, গুড়, শরিষা এবং জ্বলানি কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ কিছুটা কম হয়। তবে আগামী এক মাসের মধ্যে শিত বেড়ে গেলে বিক্রি দ্বিগুনরও বেশী হবে।
তার দক্ষিণ পাশেই পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছেন মো. রুহুল আমীন। তার পাশেই জ্বলছে তিনটা চুলা। তিন জনের দুজনে পিঠা তৈরী এবং একজনে পরিবেশণ করছেন। তারাও প্রতি বছর এসময়ে রাস্তার পাশে বসে পিঠা বিক্রি করে থাকেন। তিনি বলেন, প্রতি শীতের মৌসুমে পিঠা কিক্রি করে মোটামুটি ভালোই লাভ করে থাকেন। তবে পুলিশের ভয়ে থাকতে হয়। হঠাৎ এসে উঠে যেতে বলে।
একই ভাবে চুকনগ মোড়, আঠারো মাইল বাজার, মোড়, জাকারিয়া মার্কেটের সামনে, কৈয়া বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে বসে চিতই পিঠা বিক্রির দোকান। তাদের অনেকেই বলেন, শীতের মৌসুমে মাত্র তিন মাসেই যে লাভ হয়, তাতে প্রায় ছয় মাস চলে যায়।
বিষয়টি নিয়ে বিএন পির নেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, গরিব মানুষের জন্য শীতের মৌসুমে একটা ভালো আয় হয়। কেউ পিঠা বিক্রি করেন, কেউ ধান ক্ষেতে কাজ করেন এভাবেই চলে তাদের জীবন জীবীকা। তিনি বলেন, শীতের ২-৩ মাসে পিঠা বিক্রি করে অনেকেরই প্রায় ছয় মাসের আয় ঘরে আসে। এ ব্যবসা তাদের জন্য অবশ্যই লাভজনক। এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সরকারি ভাবে সহায়তা দেয়া খুবই জরুরী।

















