০৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ফের ৪ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প চট্টগ্রামে

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ

এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম থেকে:

বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৫৭ মিনিটে কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম শহরজুড়ে ৪ দশমিক ৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের ফালাম এলাকায়, ফালাম শহর থেকে প্রায় ৮১ কিলোমিটার পূর্বে।

আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) তাদের সর্বশেষ তথ্যে জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের নাচুয়াং এলাকায়।

১০৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরতায় সৃষ্ট এই ভূমিকম্পে প্রভাবিত অঞ্চল হিসেবে দেখানো হয়েছে মিয়ানমারের সাগাইং, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগকে।

ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি মিয়ানমার। ভারত ও ইউরেশিয়া—এই দুই টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় দেশটি ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে।

এ দুই প্লেটের মাঝের সীমানাকে ‘সাইগং ফল্ট’ বলা হয়। বিশেষজ্ঞরা এটি মিয়ানমারের মান্দালয় থেকে ইয়াঙ্গুন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সরলরেখার মতো এলাকা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে লাখো মানুষ ভূমিকম্পঝুঁকিতে বাস করে।

গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এটি অষ্টম ভূমিকম্প। ২১ নভেম্বর শুক্রবার নরসিংদীতে উৎপত্তি হওয়া ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকাসহ আশপাশের অঞ্চল কেঁপে ওঠে। ওই ভূমিকম্পে প্রাণ হারান ১০ জন। এরপর থেকে দেশে মাঝেমধ্যে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৯:০০:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
১১

ফের ৪ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প চট্টগ্রামে

আপডেট: ০৯:০০:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম থেকে:

বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৫৭ মিনিটে কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম শহরজুড়ে ৪ দশমিক ৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের ফালাম এলাকায়, ফালাম শহর থেকে প্রায় ৮১ কিলোমিটার পূর্বে।

আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) তাদের সর্বশেষ তথ্যে জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের নাচুয়াং এলাকায়।

১০৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরতায় সৃষ্ট এই ভূমিকম্পে প্রভাবিত অঞ্চল হিসেবে দেখানো হয়েছে মিয়ানমারের সাগাইং, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগকে।

ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি মিয়ানমার। ভারত ও ইউরেশিয়া—এই দুই টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় দেশটি ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে।

এ দুই প্লেটের মাঝের সীমানাকে ‘সাইগং ফল্ট’ বলা হয়। বিশেষজ্ঞরা এটি মিয়ানমারের মান্দালয় থেকে ইয়াঙ্গুন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সরলরেখার মতো এলাকা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে লাখো মানুষ ভূমিকম্পঝুঁকিতে বাস করে।

গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এটি অষ্টম ভূমিকম্প। ২১ নভেম্বর শুক্রবার নরসিংদীতে উৎপত্তি হওয়া ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকাসহ আশপাশের অঞ্চল কেঁপে ওঠে। ওই ভূমিকম্পে প্রাণ হারান ১০ জন। এরপর থেকে দেশে মাঝেমধ্যে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে।