চেম্বার নির্বাচনে ৬ পরিচালকের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া আঁটকে গেল
এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম থেকে:
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনে ট্রেড ও টাউন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইস্যু করা চিঠি স্থগিত করেছেন উচ্চ আদালত। এর ফলে দুই গ্রুপের ছয় পরিচালকের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার প্রক্রিয়া থেমে গেল।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আশিফ হাসানের বেঞ্চ শুনানি শেষে একটি রুল জারি এবং একটি অন্তর্বর্তী আদেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রমজান আলী সিকদার এক প্রত্যয়নপত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, চট্টগ্রাম চেম্বারের সদস্য মোহাম্মদ বেলালের পক্ষে রিট পিটিশন নং ১৬৯৭৬/২০২৫ দায়ের করা হলে আদালত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সেই চিঠির ওপর স্থগিতাদেশ দেন, যার মাধ্যমে ট্রেড গ্রুপ ও টাউন অ্যাসোসিয়েশনকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
আদালত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ট্রেড অর্গানাইজেশন উইংয়ের মহাপরিচালক, ট্রেড অর্গানাইজেশন–১ এর উপসচিব, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশাসক, নির্বাচন বোর্ড এবং এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ট্রেড গ্রুপ ও টাউন অ্যাসোসিয়েশনের ছয়টি পদে বিপরীতে মাত্র ছয়জন প্রার্থী থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে ছিলেন। তারা হলেন—ট্রেড গ্রুপের মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, মোহাম্মদ আমিরুল হক ও এস এম সাইফুল আলম। টাউন অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের আবসার হাসান চৌধুরী, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন ও মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ।
প্রত্যয়নপত্রে বলা হয়, হারবিস কনভার্টিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অবৈধ ও স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করেন।
কারণ, ১৫ জুলাইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন এবং ২০ আগস্টের মন্ত্রণালয়ের মেমোতে ট্রেড গ্রুপ ও টাউন অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার নির্দেশ ছিল।
কিন্তু পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ট্রেড অর্গানাইজেশন–১ এর উপসচিব ৪ সেপ্টেম্বর জারি করেন মেমো নং ২৬.০০.০০০০.১৫৬.০২৪.৯০ (পার্ট–২)/২২৭, যার মাধ্যমে বিতর্কিত গ্রুপগুলোকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আদালত সেই মেমোর কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে আদালতের আদেশে বলা হয়, এই স্থগিতাদেশ চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করবে না; শুধু তদন্ত প্রতিবেদনে অযোগ্য ঘোষিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বাদ রাখতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী মোহাম্মদ বেলাল বলেন, ‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম, আদালতের আদেশে আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।’


























