এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানা পুলিশ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ২ জন ইয়াবা পাচারকারীকে গ্রেফতার করে মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা রজু পুর্বক আদালতে সোপর্দ করেছে। গ্রেফতারকৃত ইয়াবা পাচারকারীরা হল বরগুনা জেলার মোহাম্মদ সোলায়মান(২১) ও কক্সবাজার জেলার কাজল ধর(৩৫)।
১৪ জুন’২৩ ইং মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস. এম শফিউল্লাহ বিপিএম’র সুনিপুন নির্দেশনায় এবং বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ কামাল উদ্দিন পিপিএম-এর তত্ত্বাবধানে এসআই(নিঃ) হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের চৌকষ একটি টীম রাত ১১.৪৫ টার সময় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাঁশখালী থানাধীন পুঁইছড়ি ইউপিস্থ নাপোড়া বাজার লেদু মিয়ার লিজা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে পাকা রাস্তার উপর হইতে মো: সোলায়মান(২১), পিতা-হারুন হাওলাদার, গ্রাম-ফুলঝুড়ি (ভাওয়ালকার হাওলাদার বাড়ী, ১নং ওয়ার্ড , থানা-বরগুনা সদর, জেলা-বরগুনা, ও কাজল ধর(৩৫), পিতা-রাম জীবন ধর, মাতা-শ্যামলী বালা, গ্রাম-জোয়ারিয়ানালা, রামু হাসাপাল গেইট, ২নং ওয়ার্ড, থানা- রামু, জেলা-কক্সবাজার দুইজনকে আটক পুর্বক তল্লাশি করে তাদের সাথে থাকা ১০,০০০ (দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারপুর্বক আসামীদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন পরবর্তীতে এ সংক্রান্তে বাঁশখালী থানার মামলা নং-২৪, তারিখ-১৫/০৬/২০২৩ ইং, ধারা-৩৬(১) সারণির ১০(গ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ রুজু করা হয়।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, বাঁশখালী থানা পুলিশ মাদক পাচার, মাদকের অবৈধ বেচাকেনা ও অপব্যবহারের ব্যাপারে বরাবরই জিরো টল্যারেন্স নীতি অবলম্বন করে তৎপর রয়েছে।
বাঁশখালী প্রধান সড়ক দিয়ে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাতায়াত সহজ বিধায় মাদক পাচারকারীরা এ রোডটিকে মাদক পাচারকারীরা নিরাপদ মনে করলেও বাঁশখালী থানা পুলিশ নির্ভরযোগ্য সোর্সের নেটওয়ার্ক জাল বিস্তার করে প্রায় দুয়েকদিন পরপর মাদক পাচারকারীদের প্রায় প্রত্যেকটি প্রচেস্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে নিয়মিত পাচারকারীদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে আইনে সোপর্দ্য করে আসলেও ইয়াবা পাচারকারীরা তাদের ব্যর্থ প্রচেস্টা অব্যাহত রেখেছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের সুনিপুন নির্দেশনায় ১৪ জুন দিবাগত রাত ১১.৪৫ টায় ১০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ২ জন পাচারকারীকে হাতে নাতে গ্রেফতারপুর্বক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা রজুপুর্বক আদালতের মাধ্যমে আইনে সোপর্দ্য করা হয়েছে।
মাদক বিজনেস এবং পাচারের সাথে জড়িত যেই হউক, কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবেনা বলেও জানান ওসি কামাল উদ্দিন পিপিএম।