শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া খুলনা থেকে:
ডুমুরিয়া (খুলনা) ইলিশের মৌসুম এখন। ডুমুরিয়া মাছ বাজারে ইলিশের আধিক্য দেখা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই।
সপ্তাহখানেক ধরে দামও কমেছে কিছুটা। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন ইলিশের সিজন হওয়ায় দামও কমেছে।
তবে ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতাদের মুখ দাম কমার খবরে উজ্জ্বল হয়ে উঠেনি! ক্রেতাদের দাবি, ইলিশের দাম আরও কমা উচিত। যাতে করে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং খেটে খাওয়া মানুষের হাতের নাগালে থাকে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে আকার ভেদে মাছের দাম কেজিতে দেড় থেকে দুইশ টাকা কমেছে। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ডুমুরিয়া,চুকনগ মাছ বাজারে ইলিশের বেশ আধিক্য। ব্যবসায়ীদের ঝুড়িতে ভর্তি নদীর রুপালি ইলিশ। এলইডি লাইটের আলোতে ঝকঝক করছে ইলিশের শরীর।
পদ্মা নদীর ইলিশ, বরিশাল এবং চাঁদপুর থেকে আসা ইলিশ আলাদা করে সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা। ক্রেতাদের কাছে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে পদ্মার ইলিশ। পদ্মার ইলিশ অপেক্ষাকৃত তাজা। এবং স্বাদেও ভালো। তবে পদ্মা নদীর ইলিশের আকার কিছুটা ছোট। অন্যদিকে বরিশাল থেকে আসা ইলিশের আকার বড়। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশও রয়েছে।
বিক্রেতা রাজিব জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দেড়শ থেকে আড়াইশ টাকা পর্যন্ত কমেছে ইলিশের দাম। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম একটু বেশিই। বর্তমানে মাছের সিজন চলায় বাজারে মাছের পরিমাণও বেশি। ফলে দাম স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কমের দিকে।
বাজার ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, দাম কিছুটা কমলেও তা আশানুরূপ নয়। দাম আরও কমা উচিত। আকার অনুযায়ী সর্বনিম্ন তিন/চারশ টাকা কেজি হলে সব শ্রেণিপেশার মানুষ সহজেই মাছ কিনতে পারবে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তিন পিসে এক কেজি হয় এমন মাছের দাম কেজি প্রতি ৯০০ টাকা, যা আগে ছিল ১২০০ টাকা, চার পিসের এক কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, আগে ছিল ৯০০ টাকা।
ছয় পিসের এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭৫০ টাকা। অন্যদিকে দুই পিসের এক কেজি ৩০০ গ্রাম মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা, আগে ছিল ১৫০০ টাকা। দুই পিসের এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা, আগে ১৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হতো।
মোসলেম উদ্দিন নামে এক ক্রেতা বলেন, ইলিশ মাছের দাম একটু কমেছে। কিন্তু এই কম তো আশানুরূপ নয়। আমাদের কাছে বেশিই মনে হয়।
আরেক ক্রেতা মো. হালিম মিস্ত্রী বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে দাম এ সপ্তাহে কম। কেজিতে দুই/তিনশ টাকা কমেছে। পদ্মার ছোট ইলিশ কিনেছি। তবে দাম আরেকটু কমলে ভালো হতো।
মোঃ ইনসাদ আলী বাজারের ইলিশ বিক্রেতা বলেন, দাম কমায় বিক্রি বেড়েছে। অনেকে বেশি করে কিনে নিচ্ছেন। পদ্মার ছোট সাইজের ইলিশের চাহিদা বেশি।
অপর মাছ বিক্রেতা মোঃ মিরাজুল ইসলাম বলেন, পদ্মার ছোট ও মাঝারি ইলিশ বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। পদ্মার ইলিশ বেশ তাজা থাকে। খেতে সুস্বাদু। প্রতিদিন ভোরে পদ্মার ইলিশ কিনে আনি। দাম এখন একটু কম।