এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম থেকেঃ
চট্টল গৌরব, ভারত উপ-মহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য বারে বারে নির্যাতিত ও মহাত্মা গান্ধির সাথে কারাবরণকারী নেতা, মুসলিম সম্প্রদায় কর্তৃক প্রকাশিত প্রথম ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা “দি মোহামেডান অবজারভার” পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা ডিপুটি শাহ মোহাম্মদ বদিউল আলমকে অল ইন্ডিয়া মুসলমান এসোসিয়েশন কর্তৃক মরনোত্তর স্মারক সম্মান-২০১৮ প্রদান করা হয়।
২২ অক্টোবর’২৩ ইং ভারত থেকে আগত ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত চট্টগ্রাম একাডেমী মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে উক্ত স্মারক সম্মাননা ডিপুটি শাহ মোহাম্মদ বদিউল আলমের পৌপুত্র চট্টলানামা সম্পাদক মোহাম্মদ নাজমুল হক শামীমের হাতে তুলে দেন। উল্লেখ্যঃ ডিপুটি শাহ মোহাম্মদ বদিউল আলম ১৯৩১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর কর্মকে স্মরণ করে অল ইন্ডিয়া মুসলমান এসোসিয়েশন ডিপুটি সাহেবের মৃত্যুর ৯৩ বছর পর এই স্মারক সম্মাননা দিয়ে মণিষীকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেছেন। এসময় ভারতীয় প্রতিনিদিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গে প্রবীন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক কবি আজিজুল হক, কবি ড. আবুল হাসান, আন্তর্জাতিক বক্তা ও পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট কবি আমিরুলহজ্ব মুফতি আতিকুর রহমান, বিশিষ্ট ভাষা গবেষক ড. মআআ মুক্তাদীর, কবি আবদুল আলিম, ইতিহাসবিদ এইচ এম আবদুল্লাহ সরদার, কবি নুর নবী জমাদার, প্রবীন কবি শাজাহান লস্কর, কবি শাহাউদ্দিন পিয়াদা, কবি আরিফ এমডি খান, কবি মনজুর আলম লস্কর, অধ্যাপক দেব কন্যা সেন, মো. দেলোয়ার হোসেন মানিক প্রমুখঃ।
এদিকে অল ইন্ডিয়া মুসলমান এসোসিয়েশন কর্তৃক স্মারক সম্মাননা প্রাপ্ত হওয়ায় সংগঠনকে অভিনন্দন জানিয়ে মোহাম্মদ মনসুরুল আলম, মোহাম্মদ শাহ আলম মৌলুদ, মোহাম্মদ মুরিদুল আলম নজর, মোহাম্মদ রফিকুল আলম সেলিম, মোহাম্মদ মোরশেদুল হক সাকেব, মোহাম্মদ নাজমুল হক শামীম প্রমূখঃ বলেন, গুনি মানুষরা লোকান্তরিত হলেও ইতিহাস থেকে কখনো মুচে যায়না, যে সমাজ গুনিজনদের মর্যাদা দিতে কৃপনতা করে সে সমাজে গুনির জন্ম হয়না। ডিপুটি শাহ মোহাম্মদ বদিউল আলম, উনি কত উঁচু মাপের জ্ঞানী ও গুনিজন ছিলেন, তা হয়ত অনেকেই জানেনা, এই না জানাটা জাতী হিসাবে আমাদের ব্যর্থতা।
অল ইন্ডিয়া মুসলমান এসোসিয়েশন সুদূর ভারত থেকে এসে আজ ডিপুটি সাহেবের উত্তরাধিকারদের খুঁজে বের করে তাদের হাতে মরনোত্তর সম্মাননা তুলে দিয়ে প্রমান করলেন যে, সত্যিকারের গুনিজনরা কখনো গুনিজনদের অবমুল্যায়ন করতে জানেনা, পারেওনা। ডিপুটি শাহ মোহাম্মদ বদিউল আলম বাংলাদেশেরই সম্পদ।