রিয়াজ রহমান, সুনামগঞ্জ থেকে:
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় শিকার হয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির তিনবারের সফল সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহি কমিটির অন্যতম সদস্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশ্বস্ত সহযোগী কয়ছর এম আহমেদ যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরতে পারেননি টানা প্রায় এক যুগ। তবে দলের কঠিন সময়ে যুক্তরাজ্য অবস্থান করেও মামলা-হামলায় দলের নির্যাতিত নিপীড়িত নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন তিনি। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর আগামি ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার নিজ এলাকা জগন্নাথপুর ফিরছেন তিনি।
এতে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। কয়ছর এম আহমেদ বাংলাদেশ প্রত্যাবর্তনে জগন্নাথপুর উপজেলা, পৌর বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ২ ঘটিকায় জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টে এক গণসংবর্ধনা আয়োজন করেছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয়, বিভাগীয়,যুক্তরাজ্য ও জেলা নেতৃবৃন্দসহ বিপুলসংখ্যক বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতার উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপি, সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসহ বিরোধী মতের রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, জুলুম-নির্যাতন, খুন, গুমসহ অত্যাচারের ষ্টিমরুলার চালাতে থাকে।
দেশ নায়ক তারেক রহমানের আস্তাবাজন নেতা হিসাবে আওয়ামী সরকার প্রতিহিংসায় হয়রানী করার লক্ষে কয়ছর এম আহমদ এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা দায়ের করে।এই অবস্থায় শত ইচ্ছা থাকলেও কয়ছর এম আহমেদ দেশে ফিরতে পারেননি। কিন্তু তিনি দেশে থাকা নেতাকর্মীদের দুর্দিনে প্রবাস থেকেও পাশে থেকেছেন। বাড়িয়েছেন সহযোগিতার হাত।
গণসংবর্ধনা সফল করতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে প্রস্তুতি সভা। জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী কয়ছর ভাই। আগামি সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে তার বিকল্প নেই। এই আসনের তৃণমুলের নেতাকর্মীর প্রাণ হচ্ছেন তিনি। ফ্যাসিস্ট সরকারের দুঃসাসনের সময় যেসব নেতাকর্মী জেলে ছিলেন, তাদের মামলা পরিচালনার, পরিবারের খোঁজখবর নেওয়াসহ সবকিছু তিনি পরিচালনা করতেন। এছাড়া করোনা, বন্যাসহ সকল দুর্যোগে যুক্তরাজ্য থেকে তিনি দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
দলের উপর যখন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের স্টিম রোলার চলছিল তখন নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত রাখতে সার্বক্ষণিক তাদের সাথে যোগাযোগ, মনোবল ধরে রাখাসহ সার্বিক সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিভিন্ন দুর্যোগ ও হাসিনা বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দীর্ঘদিন পর কয়ছর ভাইয়ের আগমন উপলক্ষে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। তার আগমনে নেতাকর্মীদের মিলন মেলা বসবে।