চট্রগ্রাম প্রতিনিধি:
হলুদ সাংবাদিকতার রোষানলে পড়ে জামায়াত কর্মি সাত্তার হয়ে গেল আওয়ামীলীগ নেতা। মুখরোচক হাস্যকর চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কোনাখালী গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ইসমাইল মুন্সির বাড়ীর হাজী বশির উল্লাহ’র ৩য় সন্তান আব্দুস সত্তার। হাজী বশির উল্লাহ’র পরিবারের সকল সদস্যই আগাগোড়াই জামায়াত ফ্যামিলি। নোংরা গ্রাম্য রাজনীতির শিকার হয়ে আজীবন জামায়াত সমর্থক ও জামায়াতের সক্রিয় কর্মি আব্দুস সাত্তারকে হলুদ সাংবাদিকতার বিভিন্ন মিথ্যা কলা কৌশলে আওয়ামীলীগ কর্মি সাজানোর ব্যর্থ প্রচেস্টা চালানো হলেও সত্যকে কখনো চাপা রাখা যায়না।
ঘটনার বিবরনে প্রকাশঃ জামায়াত কর্মি আব্দুস সাত্তার জামায়াতের কর্মি হওয়ার কারনে ০৩/০৩/২০১২ সালের বাঁশখালী থানার জিআর-১০ নং রাস্ট্রদ্রোহী মামলায় ৬ নং আসামী হিসাবে গ্রেফতার হয়ে ৫২ দিন হাজতবাস করেছে। একই মামলায় সাত্তারের ছোট ভাই গাফ্ফারও ৩ নং আসামী ছিল। ০১/০৩/২০১৩ সালের আল্লামা সাঈদীর রায়ের পর জামায়াত-শিবিরের বিরোদ্ধে দায়েরকৃত বাঁশখালী থানার ৫৩ নং মামলায় ২১১ জন নামীয় আসামীর মধ্যে আব্দুস সাত্তার ৩২ নং এজাহার নামীয় আসামী ছিল।
এই মামলায় সাত্তারের ছোট ভাই গাফ্ফার ৩৩ নং আসামী ছিল। এক কথায় বলতে গেলে বশির উল্লাহ পরিবার আওয়ামী রোষানলের শিকার হয়ে আব্দুল গফফারকে বিদেশ পাড়ি দিতে বাধ্য হয়, সে ছিল তখনকার বাঁশখালীর সাংসদ জাফরুল ইসলামের ব্যক্তিগত এপিএস। সাত্তার-গাফ্ফারের বড় ভাই মাওলানা আব্দুল হালিম জামায়াতের রোকন প্রার্থী এবং স্থানীয় ইউনিটের দায়িত্বশীল।
সে পরিবারেরই সন্তান জামায়াত কর্মি আব্দুস সাত্তারকে স্থানীয় ভূমি দস্যুদের বিরোদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় এবং পার্শ্ববর্তী ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে পেশাগত যোগাযোগকে ইস্যু করে একশ্রেনীর তথাকথিত হলুদ সাংবাদিকদের যোগসাজশে ভূঁয়া শীল প্যাডে রাতারাতি তাকে আওয়ামীলীগ কর্মি বানিয়ে এক সাংবাদিক নিজে মামলার বাদী হয়ে ০৭/১০/২০২৪ ইং তারিখে বাঁশখালী থানায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মিদের বিরোদ্ধে দায়েরকৃত ৩৩৫/২৪ নং মামলায় আব্দুস সাত্তারকে কাল্পনিক স্বৈরাচারের দোসর সাজিয়ে ১০ নং আসামী করা হলে এলাকায় তীব্র অসন্তোষ ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
উল্লেখ্যঃ জামায়াত কর্মি আব্দুস সাত্তার বাঁশখালী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নিবন্ধিত কার্ডধারী দলিল লেখক। সে সুবাধে ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনর রশিদের বিভিন্ন শালিস বিচারে ভূমি সংক্রান্ত প্রতিনিধিত্ব করতেন।
এ ব্যাপারে শেখেরখীল ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা মোরশেদুল আলম ফারুখীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আব্দুস সাত্তার আজিবন জামায়াতের একজন নিবেদিত প্রান ত্যাগী কর্মি এবং তার পুরা পরিবার জামায়াতের জন্য নিবেদিত প্রান। সাত্তারকে সড়যন্ত্রমুলকভাবে স্বৈরাচারের দোসরদের সাথে আসামী করা হয়েছে।
জামায়াতের স্থানীয় দায়িত্বশীল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, আব্দুস সাত্তার আমার সহোদর ভাই, আমাদের পুরো পরিবার আজিবন আওয়ামী বিরোধী পরিবার হওয়ায় আমার ভাই আব্দুস সাত্তার সহ অনেককে জেল জুলুমের শিকার হতে হয়েছে। আমার ভাই আব্দুস সাত্তার আল্লামা সাঈদীর রায় পরবর্তি মামলায় ৫২ দিন জেলও খেটেছে। অথচ স্বার্থান্বেষী মহল সড়যন্ত্রমুলকভাবে স্বৈরাচারের দোসরদের সাথে আসামী করে মামলা দেওয়া হয়েছে।