বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার, বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার প্রাচীন এক ঐতিহাসিক তেঁতুল গাছের তলায় একথানে আটাশটি সন্যাস ঠাকুরের পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাছের চারিদিকে মাটির তৈরি সন্যাস ঠাকুর গোলাকার ভাবে স্থাপন করে পুজার উপঢৌকন গুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছিল সেই সাথে ওই গাছকে বেশকিছু নতুন ধুতি দিয়ে ঘিরে দেওয়া সহ গাছের ডালে ডালে কদম ঝুলিয়ে দিয়েছে সন্যাস ভক্তরা। সে সময়ে হিন্দু রমনীদের উলুধ্বনিতে মুখরিত ছিল পুজার অঙ্গন।
দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া ইউনিয়নের কইল গ্ৰামের সন্যাসতলা নামক স্থানে এ পুজা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের পুজায় একসাথে প্রায় ত্রিশটি সন্যাস ঠাকুর তেঁতুল গাছের চারিদিক দিয়ে সাজিয়ে পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণ করে পূজা করেন। খোলামাঠে প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে এমন দৃশ্য দেখার জন্য শত শত হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তবৃন্দ পুজার স্থানে উপস্থিত হয়েছিল। বগুড়ার সুখানপুকুর থেকে পুজা দিতে আসা সুমন কর্মকার জানান,স্ত্রী সন্তান সহ এসেছি মানত করেছিলাম সেটি দেওয়া সহ আশির্বাদ নিবো।
শিবগঞ্জের সাদুল্লাপুর (মধুশ্বরী) হতে আগত এক মা জানান,আমার ছেলে টাকা দিয়েছিল বিদেশ যাওয়ার জন্য কিন্তু কোনভাবেই যেতে না পেরে অবশেষে সন্যাস বাবার কাছে মানত করলে সে মাসেই ছেলে বিদেশ চলে যায় এবং খুব ভালো চাকরি পেয়েছে তাই বাবার আশির্বাদ নিতে এসেছি। তবে এ রকম হাজারো ভক্তবৃন্দ কেউবা এসেছেন পুজা দিতে কেউবা লোকমুখে শুনে এসেছিলেন বাবার কাছে মানত করতে।
আয়োজক কমিটির সদস্য শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র প্রামাণিক জানান,সন্যাস বাবা অত্যন্ত জাগ্ৰত আমরা পুর্ব পুরুষদের কাছে শুনেছি তিনি এ গাছের তলায় অবস্থান করেন। এই তেঁতুল গাছ তলায় প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তিতে তার পুজা হয়ে থাকে। গাছটি বয়স সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি আমার দাদুর কাছে শুনেছি তারাও বলেছেন গাছটি এমনি দেখছি। এলাকায় এমন প্রবাদ ছড়িয়ে আছে গভীর রাত্রিতে পথ চলতে বা কেউ বিপদে পড়ে স্বরণ করলে মুহূর্তে সে বিপদ থেকে তিনি রক্ষা পায়।