• মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বাংলাদেশ-ভারত পুরানো বন্ধুত্বের কতটা নবায়ন হলো ইউনূস-মোদি বৈঠকে? রাম নবমীতে শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ মমতার কপিলমুনিতে বাসস চেয়ারম্যানের শুভাগমন উপলক্ষে ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠান ষড়যন্ত্র আরও বেশি দানা বাঁধবে ভোটের রোডম্যাপ ঘোষণা না হলে ড. ইউনূস জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়বেন ৬৬৮১ রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ আইন মন্ত্রণালয়ের চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে ইফতার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরলো ২১ বাংলাদেশি  নোয়াখালীর কবিরহাটে শিশুকে যৌন নিপীড়ন, গ্রেপ্তার-১ সাধারণ মানুষের স্বার্থে ট্রাফিক ও জানজট মুক্ত করতে সাব ট্রাফিক স্টেশন উদ্বোধনে পুলিশ সুপার

ডুমুরিয়া ওলামায়ে কেরাম, তাবলীগের সাথীবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রধান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া খুলনা থেকে:

ডুমুরিয়া উপজেলা ওলামায়ে কেরাম, তাবলীগের সাথীবৃন্দ ও তৌহিদী ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন ডুমুরিয়া উপজেলা ওলামায়ে কেরাম, তাবলীগের সাথীবৃন্দ ও তৌহিদী ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে

বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার‌ মুহাম্মদ আল আমিনের মাধ্যমে ডুমুরিয়া সাজিয়াড়া সামছুল উলুম মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা মোস্তাক আহমেদ স্বাক্ষরিত, স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় তার সাথে বিভিন্ন মাদ্রাসার মসজিদের আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

উগ্রবাদী সাদপন্থীদের টঙ্গির মাঠে হত্যাকান্ডের বিচার নিশ্চিতকরণ, তাদের সার্বিক কর্মকাণ্ড বন্ধকরণ ও ডুমুরিয়া উপজেলার সকল মসজিদে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে তা এককভাবে উলামায়ে কেরামের অধিনে শুরায়ী নজদের হাতে দায়িত্ব অর্পন সম্পর্কে প্রদান করেন স্মারক লিপিতে লিখিতভাবে জানান ,আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, দাওয়াত ও তাবলীগ’ বিশ্বব্যাপী পরিচিত ও সমাদৃত একটি অরাজনৈতিক, অহিংস ও শান্তিপূর্ণ দ্বীনি কাজ, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পবিত্র কোরআন ও হাদীসের ভিত্তিতে মানুষের জীবনের সংশোধন আনা।

বাংলাদেশে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই নীতিমালার ভিত্তিতে তাবলীগের কাজটি ওলামাদের তত্ত্বাবধানে সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে, তাবলীগ জামাতের কিছু বিভ্রান্ত সাথী (যাদের অধিকাংশই সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত) তাবলীগের মূলনীতি উপেক্ষা করে ভারতীয় মাওলানা সাদ সাহেব যিনি কোরআন হাদীসের বিকৃত ও মনগড়া ব্যাখ্যার কারণে ভারতে নিন্দিত ও পদদ্রষ্ট বলে সাব্যস্ত।

তার আনুগত্যকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালের ২৬ শে মার্চ তাবলীগ জামাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি পৃথক জামাত গড়ে তোলেন। যার নাম দেয়া হয় ‘এতায়াত জামাত’। সাধারণ মানুষ এদেরকে সাদ পন্থী হিসেবে চিনে। ফলে এরা আর তাবলীগ জামাতের প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা মাওলানা সা দের এতায়াত জামাতের প্রতিনিধিত্ব করে।

বিগত পতিত সরকারের সহযোগিতায় ভারতের নির্দেশে তারা প্রায় ৬/৭ বছর ধরে তাবলীগের নামে ইসলাম ধর্মবিরোধী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। আপনি আরও অবগত আছেন যে, এই সা’দ পন্থীগণ গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টায় টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠে তাবলীগ জামাতের লোকদের উপর ঘুমন্ত অবস্থায় নৃশংস ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ (শূরায়ী নেজাম) এর সার্থীগণ সরকারের অনুমতি ক্রমে টঙ্গী বিশ্ব এজতেমা মাঠ প্রস্তুতের দায়ীত্বে নিয়োজিত ছিলেন।

তাদের আক্রমণে আমাদের শূরায়ী নেজামের ৪ জন সাথী শহীদ হন এবং শত শত সার্থীদের মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। যারা বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মানুষ হত্যার এই নারকীয় তাণ্ডব দেশবাসী ইতিপূর্বে কখনো দেখেনি। একইভাবে তারা ২০১৮ সালের ১লা ডিসেম্বর ইজতেমার মাঠে কাজ করা অবস্থায় তাবলীগের সাথীদের উপর জোড়ের নামে হামলা করে ১ জনকে শহীদ করে এবং বহু সাথীকে আহত করে। যাদের অনেকেই পা হারিয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন, কেউ কেউ জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন।

আপনারা দেখেছেন তারা কতটা নির্মমভাবে হাফেজে কোরআনের ছাত্রদের উপর, শিক্ষকদের উপর সাধারণ মুসল্লীদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

দেশের আলেম ওলামা, বুদ্ধিজীবী ও ছাত্র জনতাসহ সকল সচেতন নাগরিক সা’দ পন্থীদের এহেন বর্বরতা, পৈশাচিক হামলা নৃশংস হত্যা। ইসলাম ধর্ম বিরোধী সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিরাপত্তাহীনতার ভুগছে। এই সন্ত্রাসীরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে আসা শুরু করেছে। এমতাবস্থায় ডুমুরিয়া উপজেলার সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।

ডুমুরিয়া উপজেলার সকল মসজিদে এই সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। এবং এককভাবে সকল মসজিদে উলামায়ে কেরামের অধিনে শুরায়ী নজমের কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করা। উল্লেখ্য এই সন্ত্রাসী সাদপন্থিরা বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের অনুগত প্রশাসনের সহযোগিতায় বিভিন্ন মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিবকে জোরপূর্বক অপসারণ করা সহ মসজিদের উপর অবৈধ দখল প্রতিষ্ঠা করে রেখেছে। ডুমুরিয়া উপজেলার সকল মসজিদে সাদ পন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা ওলামায়েকেরামের তত্ত্বাবধানে পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

যাতে মুসলমানগণ কোনভাবেই বিপথগামী হয়ে তাবলীগের নামে অরাজকতা ও বিশৃংখলা সৃষ্টি না করতে পারে। উপজেলার প্রত্যেক এলাকার সাদপন্থীদের তালিকা (যারা ইজতেমা মাঠে হামলায় অংশগ্রহণ করেছে) প্রশাসনের গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে।

উপরোক্ত দাবীগুলো আন্তরিকতা ও সহৃদয়তার সাথে মেনে নিয়ে দাওয়াত ও তাবলীগ এর কাজে সহযোগিতা করে আপনার দ্বীনি দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালনের বিশেষ অনুরোধ ও আহহ্বান জানান।

স্মারকলিপি প্রধান শেষে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদ রানার সাথে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ