বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
মহালয়ার মধ্যে দিয়ে দেবি দুর্গার আগমন ঘটে মর্তলোকে ও ষষ্ঠী পুজার দিয়ে শুরু হলেও তা শেষ হলো বিজয়া দশমীর বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে। এবার দেবী দুর্গা কৈলাস থেকে মর্ত্যলোকে এসেছিলেন ঘোড়ায় চড়ে এবং ফিরেও গেলেন ঘোড়ায় চড়ে। মন্ডবে মন্ডবে দশমী ও অপরাজিতা পুজায় পুরোহিতের মন্ত্র ও ঢাকের তাল জানিয়ে দিলো দেবীদুর্গা কিছুক্ষণ পর ভক্তদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কৈলাসে চলে যাবেন। তাই ভক্তদের মনে বাজছে বিশাদ আর বেদনার সুর চোখে দৃশ্যমান জল। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে মঙ্গলবার ১১টায় দশমীপূজা শেষে ভক্তদের উপস্থিতিতে দর্পণ বিসর্জন দেন পুরোহিত। এতে করেই শেষ হয় এবার দুর্গাপুজার আনুষ্ঠানিকতা।
সোনাতলা রাম নারায়ণ বিহানী কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরে দশমীর পর সনাতনী মেয়েরা দেবীকে মিষ্টি মুখ করিয়ে এবং দেবীর চরনে সিঁদুর দিয়ে একে অপরকে সিঁদুর রাঙ্গিয়ে মেতে উঠেন সিঁদুর খেলায়। তবে সে সময়ে সাদা কাপড় পরিধানে সিঁদুরের লাল রংএ রঙ্গিন হয়ে উঠে সবাই। অপরদিকে বিকেলে উপজেলার আড়িয়াঘাটে বাঙ্গালী নদীতে সোনাতলা পৌর সহ উপজেলার নামাজখালী,মধুপুর,সাহবাজপুর আশপাশের বিভিন্ন গ্ৰামের ১৫থেকে ২০টি মন্দিরের প্রতিমা আসে ঘাটে। ৩০/৪০টি নৌকায় দেবীকে উঠিয়ে নদীতে চলে নৌকার শোভাযাত্রা।
এদিকে এ দৃশ্য দেখার জন্য নদীর ব্রীজ সহ আশপাশে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। শোভাযাত্রা শেষে সন্ধ্যায় এক এক করে দেবী দুর্গাকে ভক্তরা চোখের চলে বিদায় জানান নদীর জলে। নদীর ঘাটে বিসর্জন ও মনমুগ্ধকর নৌকা শোভাযাত্রা দেখতে নৌকায় চড়ে এদৃশ্য উপভোগ করলেন জাতীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আসফার সায়মা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাদুজামান লিটন,থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সৈকত হাসান।
বিসর্জনকে ঘিরে নদীর উপর ব্রীজ সহ দু-ধারে এবং বিসর্জন ঘাটে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা রেখেছিল কঠোর নিরাপত্তার ও নজরদারিতে। স্থানীয় পুজা মন্ডপ কমিটির সদস্যরা বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির কারনে শান্তিপুর্ন পরিবেশে আমরা এবার শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পেরেছি।