এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম থেকেঃ
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে হজ্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন দৈনিক দেশের কন্ঠের চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ বিশিষ্ঠ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আবুল আলা মুহাম্মদ হোছামুদ্দিন।
সৌদি বাদশাহ রাস্ট্রীয় মেহমান হিসাবে সাংবাদিক ডঃ হোছামুদ্দিনকে পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য আমন্ত্রন জানিয়েছেন। বিশিষ্ঠ্য সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মি ও সমাজসেবক ডঃ হোছামুদ্দিনের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের বাবুনগর গ্রামের মক্কার বাড়ি।
তিনি মরহুম আল্লামা ফজলুল্লাহ (রা:) এর কনিষ্ঠ পুত্র ও চট্টগ্রাম-১৪ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর ছোট ভাই। তিনি আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও নিয়োজিত আছেন। তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতিও।
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের রাস্ট্রীয় অথিতি হিসাবে বিশ্বের ৯০টি দেশ থেকে প্রায় ১৩০০ জন অথিতি পবিত্র হজ্ব পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। পবিত্র মসজিদের অভিভাবক’ অতিথি প্রোগ্রামের আওতায় সৌদি সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এসব মেহমানদের হজ্বের সব ব্যয়ভার বহন করে থাকেন।
সৌদি আরবের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শেখ আবদুল লতিফ আল-আশেখ বলেছেন, সৌদি রাজতন্ত্রের পক্ষ থেকে মুসলিম ও ইসলামিক বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের প্রচেষ্টা হিসাবে বিভিন্ন দেশ থেকে রাস্ট্রীয় অথিতি হিসাবে এসব মেহমানদের পবিত্র হজ্ব পালনের সুযোগ করে দেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সৌদি বাদশাহর অতিথি হয়ে যেসব দেশের মুসলিমরা হজ্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন, সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস এবং ধর্মীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে তাদের বিষয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার। মনোনীত মেহমানদের ভিসা প্রদান, হজ্ব পালনে যাতায়ত এমন কি হজ্ব করে নিজ দেশে ফিরে যাওয়া পর্যন্ত পুরো বিষয়টির সঙ্গে সমন্বয় করছে সৌদি প্রশাসন।
২০ জুন’২৩ ইং রাত ১২ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হবেন এসব হাজীরা। ডঃ হোছামুদ্দিন দেশবাসী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
১৩০০ জনের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রন পেয়েছেন ৪০ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সৌদি আরবের গণমাধ্যম।