এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম থেকেঃ
গ্যাস সংকটে চট্টগ্রাম নগরীর নাগরিক জিবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গ্যাস সংকট থেকে নাগরিকদের মুক্তির দাবীতে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম(সিসিএফ) সর্বস্তরের নাগরিকদের নিয়ে মানববন্ধন পূর্বক কর্নফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কতৃপক্ষের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
১০ জানুয়ারি’২৪ ইং বুধবার বেলা ১২ টায় চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহরস্থ কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে এক বিশাল মানববন্ধনের পর চট্টগ্রাম কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবু সাকলায়েনের নিকট এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারক লিপি প্রদান করেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার মনোয়ার হোসেন।এই সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব সাংবাদিক মোঃ কামাল উদ্দিন, সাবেক এমপি মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী সাবেক মন্ত্রী জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম নেতা লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী মোঃ কামরুল ইসলাম, নাগরিক ফোরাম নেতা মনসুর আলাম সহ প্রমুখ।
ব্যারিষ্টার মনোয়ার হোসেন স্মারক লিপি প্রদান কালে বলেন, বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বাসিন্দারা তীব্র গ্যাস সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন এই অবস্থায় রান্নার জন্য তাদের বিকল্প উপায়ে যেতে বাধ্য হতে হচ্ছে কিংবা বাইরে থেকে তারা খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। শিল্প কারখানায় তীব্র গ্যাস সংকটের কারনে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম সব সময় চট্টগ্রামের মানুষের দুঃখ- দুর্দশা তুলে ধরে।
বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ হাতে নিয়েছেন। কর্ণফুলী টানেল, কক্সবাজার পর্যন্ত রেল পথ সম্প্রসারণ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা তিনি বরাদ্দ দিয়েছেন, কিন্তু এ গ্যাস সংকট, জলাবদ্ধতা সমস্যা ও নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ না করার কারনে নানা উন্নয়নের সুফল মানুষ আজ ভোগ করতে পারছেনা।
তিনি বলেন, বৃহত্তর চট্টগ্রামের শিল্প ও আবাসিক খাতে চলমান গ্যাস সংকট ও গ্রাহক ভোগান্তি নিরসনে জরুরী পদক্ষেপ নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাহকদের অসরবরাহকৃত গ্যাসের জন্য বিল করা যাবে না। ইতিমধ্যে এই ধরনের সংগৃহীত বিলের অর্থ গ্রাহকদের ফেরত দিতে হবে। চট্টগ্রামে সরবরাহকৃত ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মেঘনা ঘাঁটে বেসরকারি বিদ্যুৎ খাতে সরবরাহ করার যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে তা বাতিল করতে হবে।
কেননা এ ধরনের পদক্ষেপ গ্যাস সংকটকে আরো তীব্র করবে। গ্যাস সংকট, গ্রাহক ভোগান্তি নিরসনে আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে যথাযত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে সকলের সাথে আলোচনা করে ব্যপক কর্মসূচীর মাধ্যমে দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে।