যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরের মনিরামপুরের উৎসবমুখর পরিবেশে ও আনন্দ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌঁড় প্রতিযোগিতা।
গতকাল বুধবার বিকেলে মনিরামপুরের ইত্যা গ্রামের কুলপাশা গ্রামবাসীর আয়োজনে কুলিপাশা ইত্যা মাঠে এ ঘোড় দৌঁড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
ঘোড় দৌঁড় প্রতিযোগিতা দেখতে মনিরামপুরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে দল বেধে মানুষেরা জড়ো হন ইত্যা মাঠে। মাঠ প্রাঙ্গণে বিভি মুখোরচক খাবার ও বিনোদনের দোকানের সমাগমে ভরে ওঠে। খেলা দেখতে প্রায় ২০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এ মাঠে। খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আনা ২৫টি রেসের ঘোড়া। এ প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার ছিল নগদ ১৮ হাজার টাকা। এবং দ্বিতীয়, তৃতীয় করে পঞ্চম পুরস্কার পর্যন্ত ছিল নগদ টাকা। এছাড়াও ছিল সান্ত্বনা পুরস্কার। চারটি রাউন্ডে শেষ হয় এ ঘৌড় দৌঁড় প্রতিযোগিতা।
ইত্যা গ্রামের বৃদ্ধ আয়নাল হক বলেন, অনেকদিন পর ঘোড়ার দৌঁড় দেখতে পেলান। আমরা যখন যুবক ছিলাম, তখন অনেক দেখেছি। বাড়ির কাছে হওয়ায় দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। দূরে হলে যাওয়া সম্ভব হতো না।
আলামিন নামে এক যুবক বলেন, এক কালে গ্রাম বাংলায় এই খেলাগুলো খুব প্রচলন ছিল। ধান উঠে গেলেই বড় বড় মাঠে এ খেলা হতো। তবে পুনরায় এ প্রতিযোগিতার চর্চা হলে আবারও ফিরে আসবে এ চিরচেনা ঐতিহ্য।
এদিকে এ ঘৌড় দৌঁড় প্রতিযোগিতা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে আয়োজক কমিটি গঠন করা হয়। তবে এ খেলার শেষে অব্যবস্থপনা নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে সমালোচনা হতে শোনা যায়। খেলা শেষে বিজয়ীদের পুরস্কার টাকা গোছাতে হিমশিম খেতে হয়েছে আয়োজক কমিটির। অপরদিকে এ খেলায় যশোরের এতিহ্যবাহী পত্রিকা দৈনিক রানারসহ স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোকে অবজ্ঞা করে ভুঁইফোড় অনলাইন ফেসবুক নিউজ পেজ, অননুমোদিত নিউজ পোর্টাল ও এসবের নামধারী সাংবাদিকদের গুরুত্ব দেওয়া হয়। সংবাদ পত্রগুলো আয়োজক কমিটির বক্তব্য চাইলেও বক্তব্য অপারগতা প্রকাশ করেন তারা।
আয়োজক কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য বাদশা দেওয়ান বলেন, আমি অসুস্থ, আমি বাড়িতে, এ সকল বিষয়ে আমি জানি না।
খেলার সার্বিক তত্বাবধানে থাকা নাসির উদ্দীনকে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য মেলেনি।