• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সেনবাগে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩টি চোরাই সিএনজি ও অটোরিক্সা উদ্ধার ডুমুরিয়ায় ওয়াদুদ সরদারের তেঁতুল গাছে প্রচুর পরিমাণে তেঁতুল ধরছে আকবর শাহ থানা জামায়াতের কর্মী সমাবেশে অধ্যক্ষ হিলালী নোয়াখালীতে সেনাবাহিনীর ভুয়া ক্যাপ্টেনসহ আটক ২ ডুমুরিয়ায় অসহায় গরীব শীতার্ত মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ আমতলীতে খাবারের লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের থানা প্রতিনিধি সম্মেলনে শাহজাহান চৌধুরী আমতলীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৭২ জন এতিম শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা আমতলিতে বিক্রি কালে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুই টিয়াপাখী ও ৪টি সাপ বনে অবমুক্ত করা হয় স্বৈরাচারের চিহ্নিত দোসর চট্টগ্রামের শ্রমিকলীগ নেতা হাবীব এখন ব্যস্ত মানবাধিকার নেতা

ডুমুরিয়ায় গাছ আলু চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন কৃষকরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া খুলনা থেকে:

কন্দাল জাতীয় ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গাছআলু প্রদর্শনী। ডুমুরিয়া উপজেলায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে মাচা পদ্ধতিতে গাছ আলু চাষ। সাধারণ মানুষের অধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর এই গাছ আলু চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন স্থানীয় কৃষকরা। ৭২ শতাংশ জমিতে গাছ আলু চাষ করে বাজিমাৎ করেছেন চাষি সুমন কুমার দাশ।

গাছ আলু আঞ্চলিক ভাষায় ‘মেটে আলু’ কিংবা ‘গড়আলু’ হিসাবে পরিচিত। এক সময় বসত ভিটা আনাচে-কানাচে একটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। কালের বিবর্তনে নিরাপদ এই খাদ্য এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে।

তবে আশার কথা হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় এই গাছ আলু চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রদর্শনী প্লটে চাষ হওয়া এই গাছ আলুতে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষকরা।
এরই মধ্যে এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সুমন কুমার দাশের প্রদর্শনী খেত।

ডুমুরিয়া উপজেলা শরাফপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে একজন কৃষি উদ্যোক্তা সুমন কুমার দাশ ৭২ শতাংশ জমিতে ‘গাছ আলু’ চাষ করেছেন। মাচা পদ্ধতিতে চাষ করা এই আলু গাছে একেকটি আলু ২ থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত হয়েছে। বাজারে এই আলু ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। এপ্রিল মাসে শুরু করেছিলেন প্রদর্শনী প্লেট। ২০/৩০ হাজার টাকা খরচ করে এ পর্যন্ত আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা আয় করেছেন। এখনও গাছে অবশিষ্ট যে আলু আছে ২/৩ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান চাষি চাষী।

জানা গেছে, খাবারের সঙ্গে নিয়মিত এই আলু খেলে হার্ট ভালো হয় এবং শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়।
চাষি সুমন কুমার দাশ বলেন, আমি ডুমুরিয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা করুণা মন্ডলের পরামর্শ নিয়ে মেটে আলুর চাষ করি।

এ আলু চাষে যে কোন গাছের গোঁড়ায় একটু দূরে রোপণ করলে আস্তে আস্তে ওই গাছ বেয়ে উপরে উঠে আলু ধরতে থাকে।

আলু গাছ রোপণের মাস তিনেক পর থেকেই গাছে আলু ধরতে শুরু করে। গাছের ডগায় ও মাটির নিচে গোড়ায় আলু হয়ে থাকে। প্রায় সারা বছরই আলু ধরে। প্রতিটি গাছে প্রতি সাজে আট থেকে ১০ কেজি আলু পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইনসাদ ইবনে আমিন জানান, কৃষি বিভাগের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষক সুমনের একটি প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হয়েছে। সাধারণত এ উপজেলায় মাচার উপর গাছ আলু চাষ কৃষকরা করতেন না। এবার প্রদর্শনীর মাধ্যমে অনেকেই গাছ আলু চাষে কৃষক লাভবান হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, গাছ আলুর পুষ্টি গুণ ও বাজারে চাহিদা ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া গাছ আলুর একই মাচাতে সাথী ফসল হিসেবে করলা, ধুন্দল, ঝিঙ্গা, চাল কুমড়া মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি ফসল ও চাষ করেও কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। তাই আগামীতে এ পদ্ধতিতে সারা উপজেলায় গাছ আলু চাষ বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ