• বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ডুমুরিয়ায় অবৈধভাবে ব্রাহমার সীমেন গরুর প্রয়োগ করে উত্তম কুমার বিশ্বাস খমা চাইলেন নোয়াখালীতে ৩ লক্ষ টাকার বিদেশী মদসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার সৌদি যাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে যুবকের মৃত্যু অর্থাভাবে লাশ আনতে পারছে না পরিবার সেনবাগে পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত জগন্নাথপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত নোয়াখালীতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে টিকটক: যুবদল আহ্বায়কসহ গ্রেপ্তার-৫ আব্দুল কাইউম জমাদ্দার কে ডুমুরিয়া শহীদ স্মৃতি মহিলা কলেজের সভাপতি নির্বাচিত সেনবাগে সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশন কর্তৃক ৪ জন স্বপ্নের বাজার ও ২ জন লাখপতি নির্বাচিত ডুমুরিয়ায় ধোয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‍্যালী, হাত ধোয়া প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা আওয়ামীলীগ সরকারের রোষানলের কারনে প্রতিষ্ঠার ২৪ বছরেও এমপিওভূক্ত হয়নি আমতলীর টিয়াখালী কলেজ, হতাশ শিক্ষক ও কর্মচারীরা

আয়নাঘর থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী

আবদুর রহিম, বিশেষ প্রতিনিধি
আবদুর রহিম, বিশেষ প্রতিনিধি
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আয়নাঘর থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তিনি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি হয়ে বর্ণনা করেন তাকে আটকের দিন কেমন আচরণ করেছিল সাদা পোশাকের বিশেষ বাহিনী।

বর্ণনা করেন কীভাবে কাটিয়েছেন আয়নাঘরে। তিনি বলেন, ‌‘যখন আমার বাসায় তারা আসল তখন তাদের কাছে আমি জানতে চেয়েছিলাম আপনারা কারা, পরিচয় কী, পরিচয়পত্র দেখান। তারা আমার কথার জবাব দেননি। আমি বেশ কিছু প্রশ্ন করেছি তারা কোনো কথার জবাব দেননি। এক অফিসার আমাকে তুই করে সম্বোধন করে। আমার সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করে।

এক পর্যায়ে আমাকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে নিয়ে চোখ বেঁধে দেয়। সে সময় আমাকে ও সেনাবাহিনীকে নিয়ে খুবই খারাপ ব্যবহার করে।’ আযমী বলনে, ‌‘আমি ফিরে এসে জানতে পারলাম আমার পরিবারের ওপর তারা কী পরিমাণ নির্যাতন চালিয়েছে। আমার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতে চেয়েছিল তারা। এক পর্যায়ে আমার স্ত্রীকে তুলে নিতে চাইলে স্ত্রী আমার মাকে সঙ্গে নিতে বলে তখন তারা তাকে নেয়নি।

এ সময় আমার বাড়ির যুবতী কাজের মেয়ের ওপর হাত চালিয়েছে। বাসার ম্যানেজার ও দারোয়ানসহ সবাইয়ের ওপর তারা হামলা চালায়।’ তিনি বলেন, ‘আমার চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় একটা জায়গায় নিয়ে গেল।

তারা আমাকে পোশাক দিল। রাতের আমাকে খাবার দেয় কিন্তু খাওয়ার মতো অবস্থায় ছিলাম না। টয়লেট যেতে চাইলে তারা আমার চোখ-হাত বেঁধে নিয়ে যেত। প্রায় ৫০ কদম হাঁটার পর টয়লেটে যেতাম।’ সাবেক ব্রিগেডিয়ার বলেন, ‘বারবার মনো হতো তারা হয়ত আমাকে ক্রস ফায়ার করে হত্যা করবে।

আমি রাতে তাহাজ্জত পড়ে আল্লাহর কাছে শুধু কান্না করতাম আল্লাহ আমার লাশটা যেন কুকুরদের খাদ্যে পরিণত না হয়। আমার লাশটা যেন আমার পরিবারের কাছে যায়। সব সময় এ দোয়াটাই করতাম।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ