বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়া সোনাতলার বিভিন্ন গ্ৰামে অসংখ্য গরুর মাঝে দেখা দিয়েছে লাম্পি স্কিন নামের রোগ। এদিকে এ রোগের সঠিক চিকিৎসা এবং গ্ৰাম্য চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় ৩টি গরুর মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সুত্রে জানা গেছে,লাম্পিস্কিন নামক রোগ গরমকালে গরুর মাঝে বেশি দেখা দেয়। ফলে আতংকিত না হয়ে বরং দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে গরু সুস্থ্য হয়ে যায়।
এদিকে বিভিন্ন এলাকার লোকজন জানান, এ রোগে গরুর গায়ে প্রথমে জ্বর আসে এবং পুরা শরীরে চাকা হয়ে গরুর গাঁ ছেয়ে যায়। সে সময়ে গরু খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। পাকুল্যার ইদ্রিস আলী জানান গত ক’দিন আগে উত্তর পাড়ায় গরুর গায়ে চাকা রোগে একটি গরু মারা গেছে। বালুয়াহাটের সাইফুল ইসলাম বলেন গরুর গায়ে চাকা রোগে (লাম্পি স্কিন) এ এলাকায় দুটি গরুর বাছুর মারা গেছে।
তবে পাকুল্যায় গ্ৰাম্য প্রাণী চিকিৎসক জানান,এবার এ এলাকা সহ চরাঞ্চলে ব্যপক পরিমাণে গরুর মাঝে এরোগ দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোস্তফা কামাল জানান,১৯সালে এই ভাইরাস দেশে গরুর মাঝে প্রথম দেখা দিলে ২২সালে এই রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আসে তবে ১টি ভ্যাকসিন ১০টি গরু শরীরে দেওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন এ রোগের লক্ষণ গায়ে ও পায়ের তালুতে চাকার সাদৃশ্য দেখা যায়। এ রোগ প্রতিরোধে এন্টিপাইরেটিভ, এন্টিহিষ্টামিনিক জাতীয় ওষুধের সাথে ব্যাথা নাশক ঔষধ গরুকে খাওয়ালে সুস্থ্য হয়ে যাবে এবং এরোগে আক্রান্ত গরুদের আলাদা রাখায় ভালো তবে প্রতিদিন গড়ে ১০/১৫টি এ রোগে আক্রান্ত গরু নিয়ে আসে লোকজন আমাদের অফিসে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুসরাত জাহান লাকী বলেন,লাম্পি স্কিন ডিজিজে বিচলিত না হয়ে বরং দ্রুত আমাদের কাছে নিয়ে এলে চিকিৎসা সহ ঔষুধ দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন এ রোগে শুধু জ্বরের ঔষধ ব্যতিত উচ্ছ ক্ষমতা সম্পন্ন এন্টিবায়োটিক ঔষধ না খাওয়ানোই ভালো।