বিকাশ স্বর্নকার, বগুড়া প্রতিনিধি:
আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বগুড়ার সোনাতলায় খামারিদের প্রস্তুতি একেবারেই সম্পূর্ণ। তবে এবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস কোনো প্রকার ক্ষতিকর ইনজেকশন বা ট্যাবলেট ব্যবহার না করে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করণে উদ্বুদ্ধ করেছিল খামারী তথা কৃষকদের। উল্লেখযোগ্য জাতের গরুগুলো দেশী,শাহিওয়াল,হলস্টেইন ও ফ্রিজিয়ান।
তবে গরুর পাশাপাশি ছাগল,ভেড়া ও মহিষ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করবে খামারী। গরু-ছাগল ও ভেড়া,মহিষ মিলে কোরবানির ঈদে পশুর লক্ষ্যমাত্রা ৫৬৭৯৬। এবার কুরবানী উপযুক্ত প্রাণী গরু ১৫হাজার ৫শত ৬টি, ছাগল ৩৮হাজার ৪শত ৫০টি,মহিষ ১শত ৫২টি,ভেড়া ২হাজার ৬শত ৮৮টি। এ উপজেলায় খামারী রয়েছে ৩হাজার ৮শত ৯১টি। ফলে উপজেলার ৭/৮স্থানে বিক্রি হবে কুরবানীর এসব প্রাণী। তবে গত বছরের চেয়েও এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উদ্বৃত্ত থাকছে ১৮শত ৯৯টি প্রাণী।
এদিকে সম্প্রতি ঘন ঘন বৃষ্টিতে ধানের খড় ভিজিয়ে যাওয়ায় গো খাদ্যের বেশ সংকটে পড়তে হচ্ছে কৃষকের। পাশাপাশি খাস থেকে শুরু করে অনান্য ধরণের গো-খাদ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখীর জন্য চলছে লাভ লোকসানের হিসাব নিকাশ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বিভিন্ন গ্ৰামে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুরবানীর পশুটিকে পরিচর্যা সহ রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছে সামনে কুরবানীর হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে।
কয়েকজন খামারী সহ কৃষক জানান,উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর খুব একটা সহযোগিতা করে নাই। ফলে খরচের তুলনায় কুরবানীর হাটে গরু বিক্রিতে লাভ নিয়েও চিন্তিত খামারিরা। তবে অফিস জানিয়েছেন খামারি সহ কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফলে অনেক খামারীই এবার বাণিজ্যিক ভাবে গরু ও পারিবারিক ভাবে কৃষকও গরু পালন করে সাফল্য অর্জন করেছে।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান লাকী বলেন, আমাদের পক্ষে থেকে খামারিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যে সকল খামারিরা বলছেন আমরা তাদের সহযোগিতা বা পরমার্শ দেইনি তারা হয়তো আমাদের এখানে আসেই নি। তাই সকলকে এখানে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।