বগুড়া প্রতিনিধিঃ
আজ নবান্ন “নবান্ন” শব্দের অর্থ “নতুন অন্ন” বা “নব অন্ন”। বাঙালির চিরায়ত নবান্ন উৎসবে আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব।
সাধারণত বাংলা সনের অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিনে অর্থাৎ হেমন্তকালে আমন ধান পাকার পরেই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এ উৎসব উপলক্ষে উপজেলার প্রতিটি এলাকায় এই নবান্ন উৎসবকে ঘিরে নানান ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। লোকজ সংস্কৃতির পাতা খেলা,লাঠি খেলা সহ অনুষ্ঠিত হবে মেলা।
বিশেষ করে নবান্ন উৎসবের প্রথা পালনে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী লক্ষ্য করা যায়। উপজেলার চিল্লিপাড়ার শিক্ষক দুলাল চন্দ্র রায়, চরপাড়ার ধীরেন্দ্রনাথ সরকার, পাকুল্লার বিপুল চন্দ্র সাহা,বড়িয়াহাটের শুশান্ত কর্মকার বলেন, নবান্নের দিনে সকালেই আমাদের মেয়েরা ঘর-দুয়ার পরিস্কার করে। এরপর আমরা জমিতে গিয়ে পুজা দিয়ে এবং ধানের গায়ে তেল সিঁদুর রাঙ্গিয়ে ধান কেটে বাড়ি আনবো।
মেয়েরা সেই ধান ঢেঁকিতে পার দিয়ে চাল বের করবে, তাতে বিভিন্ন ধরনের ফল,দুধ একত্রে করে পূর্ব পুরুষের উদ্দেশ্যে নিবেদন করে নবান্ন উৎসব পালন করবো পরিবারের সবাই। এদিকে এ উপলক্ষে পৌর এলাকার কানুপুরে বসবে বিশাল মাছের মেলা। মেলাকে ঘিরে আয়োজক কমিটি ব্যপক প্রচারও করেছে। ইতিমধ্যেই এমেলায় নানান ধরনের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা।
তবে দোকানীরা আশা করছেন এবারে মেলায় হয়তোবা বেচাকেনা ভালোই হবে। এবিষয়ে পৌর কাউন্সিলর মোঃ জাফর ইকবাল চপল বলেন,গত বছর এ মেলায় প্রায় ২৫লক্ষ্য টাকার শুধু মাছ বিক্রি হলেও এবছর এমেলায় প্রায় ৪০লক্ষ্য টাকার শুধু মাছ বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।