কবিতাঃ “প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণন”
কলমেঃ স্মরণিকা চৌধুরীঃ
হঠাৎ এক দমকা হাওয়ায় না বলা কথার ঝড়ে
আবর্তিত হচ্ছে অঘোষিত এক ঘুর্ণিঝড়,
তোলপাড় করে ভেঙে দিচ্ছে মনের সমস্ত ইচ্ছেশক্তি।
দেখছি তুমি দাঁড়িয়ে আছো ভাবলেশহীন,
তোমার প্রতি তুখোড় প্রেমের বন্যায়
অভিভূত দুটো চোখ তাকিয়ে আছে নির্দ্বিধায়।
নিলর্জতা ভুলতে বসেছে যেনো মনের ঘূর্ণনে,
প্রতিমূহুর্তে মনে হচ্ছে এই বুঝি ঘূর্ণিঝড়
তোমার মনের সমস্ত আগল ভেঙে দিয়ে রাঙাবে
আমারই অমর ভালবাসার গুপ্তালয়ে।
অপেক্ষার প্রহরগুলো বড্ড হৃদয়হীন
প্রতি সেকেন্ড যেনো এক একটা বছর হয়ে
মনের ভিতর পাথর চাপা দিয়ে উল্লাস করতে চায়।
ক্ষনে ক্ষনে ঘূর্ণিঝড় যেমন দিক পাল্টাতে পাল্টাতে
হঠাৎ মরণ থাবায় তছনছ করে দেয় সমগ্র শহর লোকালয়
তেমনি আমার মনে ও প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণন যেনো
মনের নগরে অকস্মাৎ আঘাত হেনে
জীবন্ত কবর বুঝি রচিত করলো তোমার অবহেলা।
তাকিয়ে রইলাম আমি সম্মুখ সমুদ্রের বিশালতায়
যে বিশালতা তোমার মনে সৃষ্টি করেছে বাঁধার প্রাচীর
প্রাচীর তো নয় যেনো এক একটা পর্বতশৃঙ্গ,
তোমার অহমিকা পর্বতের গায়ে আষ্টেপৃষ্টে বাঁধা
তাদের ডিঙিয়ে তোমার ফিরে আশার সম্ভাবনাটুকু
ক্রমশ বিলীন হতে দেখছি সময়ের দোড়গোড়ায়।
তাইতো পরিসংখ্যানের শুদ্ধতায় শুধু দেখে গেলাম
সময়ের সাথে সময় তাল মিলিয়ে চলার
সখ্যতা যেনো হারিয়ে ফেলছে ক্রমাগত।
নরম কাদা মাটিতে পাড় ভাঙা তীরের ভাঙনের ন্যায়
নীরবে নিভৃতে, চারপাশে তাকিয়ে অনুভব করি
অপারগতার আভাস আমায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দূর সীমানায়।