এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা):
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা কপিলমুনিতে অনধিকার প্রবেশ করে গাছ কর্তন, বাঁধা প্রদানে মারপিটে জখম ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন । গত ১৮ আগষ্ট সোমাবার মামলাটি করেন, বিধান বিশ্বাস। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের নাছিরপুর খুলনা-পাইকগাছা প্রধান সড়ক সংলগ্ন রানী কুঠিরের পার্শ্বে।
মামলার আরজিতে ভুক্তভোগী জানান, পাইকগাছার কপিলমুনি ইউনিয়নে নাছিরপুর মৌজায় এস এ- ৩১৩/১ নং খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তির মধ্যে ০.০৭৫০ একর সম্পত্তি গত ইং ১৮/০৩/১৯৯৫ তারিখে ১৮০০ নং রেজিষ্ট্রী কোবলায় বাদ বিধান বিশ্বাসের পিতা অজিত কুমার বিশ্বাস এবং একই তারিখে ১৮০৩ নং রেজিষ্ট্রী কোবলায় ২ নং সাক্ষী সুব্রত বিশ্বাসের পিতা মহারাজ বিশ্বাস ০.০৭৫০ একর সম্পত্তি খরিদ করেন।
বাদীর পিতা ও ২ নং সাক্ষীর পিতা উক্ত সম্পত্তিতে স্বত্ব দখল ও সেখানে বিভিন্ন বৃক্ষাদী রোপনে ভোগদখল করে আসছেন যা বর্তমান জরিপে উক্ত সম্পত্তি বর্ণিত ০.১৫ শতক জমি ডিপি ৫২৩ নং খতিয়ানে চুড়ান্ত রেকর্ড হইয়া প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত জমির পশ্চিম পার্শ্বের সীমানায় আসামী বিপ্লবের জমি থাকায় সেখানে সাধুস্টীল এন্ড করপোরেশন নামে গোডাউন নির্মান করছেন তিনি। সম্প্রতি বাদী বিধান বিশ্বাস ও ২ নং সাক্ষী সুব্রত বিশ্বাসের কাছে উক্ত সম্পত্তি ক্রয়ের প্রস্তাব দেয় বিপ্লব সাধু। কিন্তু পৈত্রিক থেকে প্রাপ্ত উক্ত সম্পত্তি বিক্রি করতে রাজী হননি বিধান ও সুব্রত।
এতে চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয় প্রভাবশালী বিপ্লব। বিভিন্ন ভাবে নাজেহাল করতে উঠেপড়ে লেগে সর্বশেষ বাদি বিধান বিশ্বাসের জমিতে থাকা বৃক্ষাদী কেটে তসরুফ করে বিপ্লব ও তার অজ্ঞাতনামা লাঠিয়ালরা। বিধান তার আরজিতে জানান, ৩টি আমগাছ সহ ছোটবড় বিভিন্ন প্রজাতির কয়েকটি গাছ কেটে ফেলে বিপ্লব ও তার লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল নিজ জমিতে গিয়ে বিধান দেখতে পান বিপ্লব ও তার অজ্ঞাতনামা লোকজন তারই জমিতে লাগানো গাছ কেটে তসরুফ করছে। এমন ক্ষয়ক্ষতির কারণ জানতেই ও বাঁধা দিতে গেলে বিপ্লব ও তার লোকজন বাদী বিধান বিশ্বাসের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট, জখম ও রক্তাক্ত করে। এ সময় বাদীর কাছ থেকে ব্যবসার নগত ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বিপ্লব।
ঘটনাস্থল থেকে বিধান বিশ্বাসের আত্নচিৎকারে স্ত্রী রত্না তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও মারপিট করে ও বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি ঘটায় তারা। এসময় স্ত্রী রত্নার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন টান দিয়ে ছিড়ে নেয় আসামীরা। যার মুল্য ৮৫ হাজার টাকা। ঘটনাস্থলে তাদের আত্নচিৎকারে আশপাশের লোকজন জানতে পেরে এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। এরপর স্থানীয় সালিসি প্রক্রিয়ায় মিমাংসার চেষ্টা করেন স্থানীয়রা। কিন্তু গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ মিমাংসায় ব্যার্থ হন। বর্তমানে প্রভাবশালী বিপ্লব সাধু মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ সহ হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভুগী বিধান বিশ্বাসের। এ বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী বিধান ও তার অসহায় পরিবার।