আবদুর রহিম, সৌদী আরব থেকেঃ
চলতি বছর টানা তৃতীয় মাসের মতো কমেছে সৌদি আরবের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানি। তেল-গ্যাসবিষয়ক তথ্য উপাত্ত নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা জয়েন্ট অরগানাইজেশন ডাটা ইনিশিয়েটিভ (জেওডিআই) এ তথ্য জানিয়েছে।
সৌদি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা অঞ্চল এশিয়া। তবে কম দামের সুবিধা পেতে সম্প্রতি অঞ্চলটি রাশিয়ার বাজার থেকে জ্বালানি আমদানি বাড়িয়েছে। এ কারণে সৌদি আরব থেকে আমদানি কমেছে।
সৌদি আরব বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ।
অপরিশোধিত তেল রপ্তানিতেও রয়েছে শীর্ষে দেশটি। তেল রপ্তানি কমায় প্রভাব পড়বে জ্বালানি তেলের বিশ্ব বাজারে। এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
চলতি বছর জুনে দেশটি প্রতিদিন রপ্তানি করেছে ৬৮ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল, যা ছিল সর্বশেষ ২১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) এমন তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার গণমাধ্যম আরটি।
প্রতিবেদনে আরটি জানিয়েছে, বুধবার সৌদি আরবের তেল রপ্তানি সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করে তেল-গ্যাসবিষয়ক তথ্য উপাত্ত নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা জয়েন্ট অরগার্নাইজেশন ডেটা ইনিশিয়েটিভ (জেওডিআিই)।
সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, গত ২১ মাসের মধ্যে চলতি বছর জুনে সবচেয়ে কম অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করেছে রিয়াদ। ওই সময় দেশটি প্রতিদিন রপ্তানি করেছে ৬৮ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল। যা মে মাসের প্রতিদিনের তুলনায় এক লাখ ২৪ হাজার ব্যারেল কম।
জেওডিআিই জানায়, চলতি বছর জুন মাসে সৌদির তেল জাতীয় পণ্যের মজুত ১০ লাখ ৬৪ হাজার ব্যারেলের নিচে চলে আসে। আর অপরিশোধিত জাতীয় তেলের মজুত ১০ লাখ ৪৫ হাজার ব্যারেল বেড়ে যায়।
অপরিশোধিত তেল সরবরাহ নিয়ে গত সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। ওই প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছিল, জুলাইয়ে বিশ্ব বাজারে ওপেক প্লাসের সদস্যরা দিনে ৫০ কোটি ৭০ লাখ ব্যারেল সরবরাহ করেছে। যা গত দুবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এদিকে গত মে মাসে তেল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেয় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেক প্লাস। ওই সময় প্রতিদিন ১৬ লাখ ব্যারেল কম উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয় রিয়াদ। যার ফলে প্রথমবারের মতো এ বছরে সৌদির তেল উৎপাদন দিনে ৭০ লাখ ব্যারেলের নিচে আসে।