আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লিবিয়া থেকে নৌকায় করে সাগরপথে ইউরোপ যাত্রাকালে তিউনিসীয় উপকূলে নৌযানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ অভিবাসী মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৮ জনই বাংলাদেশি এবং অন্যজন পাকিস্তানের নাগরিক। এ ছাড়া ওই ঘটনায় ২৭ বাংলাদেশি নাগরিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, মৃত ৮ জনের মধ্যে পাঁচজনই মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার বাসিন্দা। আর বাকি তিনজন গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাসিন্দা। মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার বাসিন্দারা হলেন- শেনদিয়া গ্রামের সজল, কদমবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামের নয়ন বিশ্বাস, সরমঙ্গল গ্রামের মামুন সেখ, তেলিকান্দি গ্রামের কাজি সজীব ও কেশরদিয়া গ্রামের কায়সার। আর গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাসিন্দারা হলেন, বড়দিয়া গ্রামের রিফাত, ফতেহপট্রি গ্রামের রাসেল ও গয়লাকান্দি গ্রামের ইমরুল কায়েস আপন।
এছাড়া মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম গ্রামের মনতোষ সরকার মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ বিষয় দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, গত ১৮ ফ্রেবুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে রাত ৪টা ৩০ মিনিটে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে মোট যাত্রী ছিল ৫৩ জন।
এদের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী ও নৌকার চালক ছিল।
দূতাবাস সূত্র আরো জানায়, চালকসহ ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে। যাদের সাতজন পাসপোর্ট ছাড়া রয়েছে। এছাড়াও রয়েছেন-পাকিস্তানের ৮ জন, সিরিয়ার পাঁচজন, মিসরের তিনজন ও মিশরীয় নৌকা চালক।