বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া সোনাতলার হলিদাবগা বাঙালি নদীর তীরে গত জুন মাসের শেষের দিকে থেকে নয়া হাট বসায় এলাকার লোকজন ভাসছে খুশির জোয়ারে এবং হাটকে কেন্দ্র করে লোকজনের চোখে মুখে জেগেছে নতুন স্বপ্ন।
তবে শুরুতেই হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের আগমন কম হলেও সেটি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে এখন হাটবারে ব্যপক ক্রেতা বিক্রেতাদের ভীর চোখে পড়ছে। উপজেলার জোরগাছা ইউনিয়নের হলিদাবগা গ্ৰামের এক প্রান্তে বাঙালি নদীর তীরে সপ্তাহে দুদিন শনিবার ও বুধবার বসে হাট চলে সেখানে প্রচুর বেচাকেনা।
যদিও বাঙালি নদীর তীর সংরক্ষণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্যবস্থপনায়। তীর বেধে দেওয়ার কারনে ওই জায়গাটি অত্যন্ত নান্দনিক ও মনমুগ্ধকরও হয়েছে। হাটের আশপাশের গ্ৰাম ভেলুরপাড়া,সিচারপাড়া,হলিদাবগা, চরপাড়া,মোনারপটল, মিলনের পাড়া,ভেলুরপাড়া সহ আরো বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় লোকজন বুধবার ও শনিবার এহাটে আসে কেউ পণ্য বিক্রি করতে আবার কেউবা আসে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে। তবে এ হাটে পণ্য বেচাকেনা করতে ক্রেতা বা বিক্রেতাকে দিতে হয়না কোন খাজনা।
এদিকে প্রতি হাটবারে হাট কমিটির পক্ষে থেকে আয়োজন করা হয় বিনোদন মুলক নানান ধরনের ব্যবস্থা। যেমন গ্ৰাম বাঙাল হারিয়ে যাওয়া লাঠি খেলা,পাতা খেলা, বাউল সংগীত,নৌকা বাইচ সহ আরো নানান ধরনের খেলা চলে হাটবার উপলক্ষে।
এ আয়োজন গুলিতে ছাগল থেকে শুরু করে গরু পর্যন্ত বিজয়ীদের জন্য পুরুস্কারের ব্যবস্থা করেন আয়োজক কমিটি সদস্যরা নিজ খরচে। হাটের দোকানীরা জানান,এই হাট বসার আগে কৃষি কাজ সহ সাংসারিক নানা ধরনের কাজ শেষে অলস সময় কাটাতাম এবং সংসারও চলতো কষ্টে কিন্তু এখন হাটে দোকান বসিয়ে রিতিমত বেচাকেনা করে ভালো ভাবেই চলছে আমাদের সংসার।
কথা হলো যাদের জমিতে এবং বহু ঘাম ঝরানো কষ্টে ও আর্থিক সহযোগিতায় বসেছে এ হাট সেই আয়োজক কমিটির সদস্য কৃষিবিদ ও শিক্ষাবিদ তরিকুল আলম স্বপন, জোরদার বাউলশিল্পী বাউল মুকুল, সমাজসেবক আঃ ওয়ারেছ, গনমানুষের আস্থার প্রতিক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রুস্তম আলীর সঙ্গে।
সবাই জানালেন, আমাদের এখান থেকে প্রায় পনের বা কুড়ি কিলোমিটারের মধ্যে কোন হাট নেই। এ কারণে আমরা কয়েকজন মিলে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে নিজেদের ও কিছু সরকারি জায়গায় সপ্তাহের দুদিন হাট বসার আয়োজন করি। তবে আশপাশের হাটের বিষয়টি মাথায় নিয়ে সপ্তাহে শনিবার ও বুধবার হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শনিবার হাটে সবজি, হাঁস, মুরগি,ছাগল,পাট সহ নানান ধরনের পণ্য বেচাকেনা হয় কিন্তু বুধবার হাটে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ বসে গরুর হাট। তাদের ধারণা প্রতি হাটবারে প্রায় পাঁচ থেকে আট লক্ষ টাকার নানান ধরনের পণ্য এ হাটে বেচাকেনা হয়ে থাকে। তারা আরো জানান এহাটে নানান ধরনের পণ্য বেচাকেনা হলেও কোন পণ্যের খাজনা নেওয়া হয় না।