• শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর দুই বাড়ি ও ১১ নৌযানে আগুন নোয়াখালীতে সাবেক সেনাপ্রধানের ও আ.লীগ নেতার বাড়িতে হেলমেট বাহিনীর হামলা-অগ্নিসংযোগ সেনবাগে অবৈধ ৪ ইটভাটার আড়াই লাখ টাকা জরিমানা ডুমুরিয়ায় ইট‌ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি শাহাজাহান জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন সরদার ফের ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলা-গুলির প্রতিবাদে মানববন্ধন দেশের শিল্প বিকাশের গর্বিত অংশীদার ইউনিভার্সাল ট্রেড সেন্টার সেনবাগ থানার গোলঘরে মারামারি,আটক ৬ ধামরাইয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স না থাকায় ২টি ইটভাটায় ২২ লাখ টাকা জড়িমানা সেনবাগে বালুবাহী ট্রাকচাপায় তরুণের মৃত্যু

সোনাতলায় চায়না জালে সয়লাব, চলছে মাছ নিধনে মহোৎসব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩

বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার, বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে নিষিদ্ধ ঘোষিত চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরার মহোৎসব। খালবিল ও বাঙালি নদী ডোবা জলাশয়ে পানি উঠার সাথে সাথে ছেয়ে গেছে শত শত চায়না জালে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালবিলে সারিবাঁধা প্রতিটি চায়না জালে রেণু পোনা থেকে শুরু করে ছোট বড় সব ধরনের মাছই জালে আটকা পড়েছে। বিভিন্ন এলাকার লোকজন জানান, চায়না জালের কারণে গত কয়েক বছর হলো সামান্য কিছু হলেও এলাকার বাজার গুলোতে দেশীয় মাছ দেখা যেতো কিন্তু এবছর বর্ষা শুরু হতে না হতেই সব মাছ চায়না জাল দিয়ে ধরা হচ্ছে।

এ ভাবে ছোট বড় সব ধরনের মাছ ধরা হলে ভবিষ্যতে দেশীয় মাছের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া একেবারেই যাবেনা। এদিকে ১২ই জুলাই শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রানীরপাড়া,সিচারপাড়া, হলিদবগা,আড়িয়াঘাট গিয়ে দেখা গেছে চায়না জাল এবং হলিদাবগা গিয়ে দেখা গেছে ভেলুরপাড়া(কাসিয়াবাড়ি) হালদার পাড়ার নরেন্দ্রনাথ হালদার (মাঝি)তার দলবল নিয়ে নৌকা করে চিকন সুতি জাল দিয়ে দেশী প্রজাতির মাছ ধরে সেগুলো হলিদাবগা নতুন হাটে বিক্তি করছে।

এবিষয়ে নরেন্দ্রনাথ হালদার জানান, আমরা প্রতিদিন হলিদাবগা ‌থেকে এপার ওপার দু-তিন কিলোমিটার জুড়ে আমরা মাছ শিকার করি। তাকে প্রশ্ন করা হয় এ ধরনের ছোট দেশী মাছের রেনু বা পোনা ধরা নিষিদ্ধ, উত্তরে তিনি বলেন পেপারে লিখে কোন লাভ নেই। তিনি আরো বলেন আমরা অফিস ম্যানেজ করে ছোট মাছ ধরছি। তবে সচেতন মহল মনে করেন শুধু খাল-বিলের চায়না জাল ধংস করলেই হবেনা, আগে বিক্রেতাকে আইনের আওতায় আনতে হবে তবেই না এর ব্যবহার অনেকাংশেই কমে যাবে।

গতবছর বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করার পরিপ্রেক্ষিতে চায়না জালের ব্যবহার অনেকাংশেই কমে গেলেও এ বছর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এখন পর্ষন্ত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে উপজেলার চারিদিকে চায়না জালে সয়লাব হয়ে পড়েছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।

উপজেলার মৎস কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন,চায়না জাল দিয়ে বিভিন্ন লোকজন নদী সহ খাল বিলে মাছ ধরছে তা বেআইনি। এই জালে ছোট-বড় সব মাছই ধরা পড়ে। বিশেষ করে দেশীয় প্রজাতির একবারে মাছগুলো বেশি আটকে এই চায়না জালে। এটি জলজ উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য চরম হুমকির তবে অচিরেই এর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ