বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া সোনাতলায় করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পার্সেলযোগে আসা মাদকদ্রব্য ৮ হাজার ৬০০শ পিছ ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয় ঢাকার অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা) কাজী আল-আমিন এর নির্দেশে রংপুরের বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন, এএসআই রনজিৎ কুমার দাস,সিপাই বেলাল হোসেন, সোলাইমান গণি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়, এর সিপাই শহিদুল্লা সরদার ও ইদ্রিস আলীসহ গঠিত একটি রেইডিং টিম নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে।
২৫ জুন রবিবার রাতে সোনাতলা পৌর এলাকার রেলগেট বাজারস্থ মাস্টারপাড়া রোডের পার্শে অবস্থিত করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের ভেতরে পার্সেল যোগে আসা ব্যাগ তল্লাশি করে। তল্লাশি করে একটি প্লাস্টিকের সাদা ব্যাগে লাল রঙ্গের হাত ব্যাগের মধ্যে পুরাতন কাপড় দ্বারা মোড়ানো একটি স্বচ্ছ প্লাষ্টিকের বক্সের ভেতরে নীল রঙ্গের জিপার পলিথিনের মধ্যে কমলা রঙ্গের অ্যামফিটামিন যুক্ত তেতাল্লিশ ইয়াবা ট্যাবলেট প্যাকেট যাহার প্রতিটি প্যাকেটে
২০০ পিস করে সর্বমোট-৮ হাজার ৬০০শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেন। ঘটনাস্থলে আসামী না থাকায় আসামীদের কে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
সোনাতলা থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানাগেছে, করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের বুকিং শিপে উল্লিখিত মোবাইল সিম নং-০১৮৫৩-০৪০২২৫ হতে জাহিদ নামে এবং মোবাইল সিম নং-০১৮১০-৪৯৩৯৩৯ নং হাসনাত নামে করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের বুকিং শিপে উল্লেখিত মাদকদ্রব্য অ্যামফিটামিন যুক্ত ইয়াবা ট্যাবলেট স্থানান্তরিত হচ্ছিল। উক্ত নম্বর ০২টি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড বের করা হলে জানা যায় নম্বর টি চট্টগ্রাম জেলার রসুলাবাদ কালিয়াইশ গ্রামের (মোতালেব মেম্বারের বাড়ী), ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩২) ও বরিশাল জেলার মূলাদী উপজেলার কাজীরচর গ্রামের জসিম হাওলাদার স্ত্রী মোছাঃ আছমা(৩৩) এর নামে রেজিষ্টার্ডকৃত।
অভিযুক্ত পলাতক আসামী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে জাহিদ (৩২) ও মোছাঃ আছমা ওরফে হাসনাত (৩৩) পরষ্পর যোগসাজশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পার্সেল যোগে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবৈধ মাদকদ্রব্য অ্যামফিটামিন যুক্ত ইয়াবা ট্যাবলেট স্থানান্তর করায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ সনের ৯ এর ১(ক) ধারা ভঙ্গ করায় একই আইনের ৩৬ (১) সারণীর ক্রমিক নং ১০(গ) ও ৪১ ধারা মতে শাস্তি যোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সোনাতলায় থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করে।