০৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

সাংবাদিক নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার: সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ, মামলার প্রস্তুতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক

হাসান আলী সোহেল, নাটোর থেকে:

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ভিন্ন কৌশলে সাংবাদিক নেতা মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বিষয়টির আইনি প্রতিকার নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তমালতলার নূরপুর চকপাড়া এলাকায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ অক্টোবর দৈনিক কালের কণ্ঠসহ একাধিক অনলাইন পোর্টালে তাকে ‘জামায়াত নেতা’ আখ্যা দিয়ে ভিপি জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওই সংবাদের সূত্রে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় শিখা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছেন এবং পরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

তিনি বলেন, প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উক্ত জমি আমার নয় এবং আমি কখনো সেটি দখলের চেষ্টা করিনি। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে আমি সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত। বর্তমানে আমি বাংলাদেশ সাংবাদিক উন্নয়ন সংস্থা (বিএসউএস)-এর নেতৃত্ব দিচ্ছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করার কারণে আমাকে টার্গেট করে এ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় দ্রুত আইনি ব্যবস্থা ও মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

অন্যদিকে, ওই ভিপি জমির দাবিদার মতিউর রহমান মধু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি (ভিপি) জমিটি লিজ নিয়ে ভোগদখল করছি। শিখা ও শামিমসহ কয়েকজনের অত্যাচারে একসময় আমি বাধ্য হয়ে পাশের আমার মায়ের জমিতে বসবাস শুরু করি। সম্প্রতি আমি সেখানে একটি গরুর খামার স্থাপন করতে গেলে তারা বাধা দেয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আমি বাগাতিপাড়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।

তিনি আরও জানান, আমার প্রতিবেশী কামরুল ইসলামকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া। আমাদের বিরোধকে বিকৃতভাবে তুলে ধরে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিখা খাতুন ও শামিম হোসেন বলেন, জমি নিয়ে ঝামেলা চলছে, তবে কামরুল ইসলামের নামে অভিযোগ আমরা নিজেরা করতে চাইনি।

বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফ আফজাল রাজন বলেন, ভিপি জমি সরকারি সম্পত্তি। নিয়ম অনুযায়ী যিনি বৈধভাবে লিজ গ্রহণ করবেন, তিনিই জমি ভোগদখলের অধিকারী হবেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১২:০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
৪৯

সাংবাদিক নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার: সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ, মামলার প্রস্তুতি

আপডেট: ১২:০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

হাসান আলী সোহেল, নাটোর থেকে:

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ভিন্ন কৌশলে সাংবাদিক নেতা মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বিষয়টির আইনি প্রতিকার নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তমালতলার নূরপুর চকপাড়া এলাকায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ অক্টোবর দৈনিক কালের কণ্ঠসহ একাধিক অনলাইন পোর্টালে তাকে ‘জামায়াত নেতা’ আখ্যা দিয়ে ভিপি জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওই সংবাদের সূত্রে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় শিখা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছেন এবং পরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

তিনি বলেন, প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উক্ত জমি আমার নয় এবং আমি কখনো সেটি দখলের চেষ্টা করিনি। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে আমি সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত। বর্তমানে আমি বাংলাদেশ সাংবাদিক উন্নয়ন সংস্থা (বিএসউএস)-এর নেতৃত্ব দিচ্ছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করার কারণে আমাকে টার্গেট করে এ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় দ্রুত আইনি ব্যবস্থা ও মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

অন্যদিকে, ওই ভিপি জমির দাবিদার মতিউর রহমান মধু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি (ভিপি) জমিটি লিজ নিয়ে ভোগদখল করছি। শিখা ও শামিমসহ কয়েকজনের অত্যাচারে একসময় আমি বাধ্য হয়ে পাশের আমার মায়ের জমিতে বসবাস শুরু করি। সম্প্রতি আমি সেখানে একটি গরুর খামার স্থাপন করতে গেলে তারা বাধা দেয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আমি বাগাতিপাড়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।

তিনি আরও জানান, আমার প্রতিবেশী কামরুল ইসলামকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া। আমাদের বিরোধকে বিকৃতভাবে তুলে ধরে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিখা খাতুন ও শামিম হোসেন বলেন, জমি নিয়ে ঝামেলা চলছে, তবে কামরুল ইসলামের নামে অভিযোগ আমরা নিজেরা করতে চাইনি।

বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফ আফজাল রাজন বলেন, ভিপি জমি সরকারি সম্পত্তি। নিয়ম অনুযায়ী যিনি বৈধভাবে লিজ গ্রহণ করবেন, তিনিই জমি ভোগদখলের অধিকারী হবেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।