সোনাতলায় তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিকের উপর হামলা,প্রেসক্লাবের নিন্দা থানায় অভিযোগ

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"addons":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}
বিকাশ স্বর্ণকার, বগুড়া থেকে:
বগুড়া সোনাতলায় তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিক এর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ের ন্যায় বিচার এর আসায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নির্যাতিত সাংবাদিক।
ঘটনাটি জানাজানি হলে সমগ্র উপজেলা জুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। সেই সাথে তাৎক্ষণিক নিন্দা প্রতিবাদ সহ দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রেসক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক লতিফুল ইসলাম সহ সকল সদস্যরা।
থানার অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে,গত ৯ই জুন সোমবার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য বেড়িয়ে পড়ে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দৈনিক পরিবার পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি বিকাশ স্বর্ণকার ও জাতীয় দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকায় প্রতিবেদক তৌহিদ আহম্মেদ।
তারা দুজন উপজেলার পাকুল্যা যাবার পথে মিলনেরপাড়ায় চোখে পড়ে মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং একে অপরের মধ্যে চলছে ধাক্কাধাক্কি ও মারধর।
সাংবাদিক দু’জনই ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহের জন্য দাঁড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা কালে পাকুল্যা ইউনিয়নের মিলনেরপাড়ার মোঃ জাহিদুল ইসলাম প্রামানিক এর ছেলে রুনু মিয়া (৩৫), শাহজাহান মন্ডলের ছেলে কাসেম মিয়া (৩০),মৃত আওয়াল কাজির ছেলে সোহেল কাজি(২৬),হারেছ আলীর ছেলে আরিজুল ইসলাম,তারাজুল ইসলামের ছেলে জিএম (২১)সহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬জন একত্রিত হয়ে অতর্কিত ভাবে সাংবাদিকের উপর হামলা চালায়।সে সময়ে তারা সাংবাদিকের ক্যামেরা ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করে।
এসময় রুনু মিয়ার হুংকারে অন্যান্যরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় থাকা সাংবাদিককতার ফিতা ধরে স্বজোরে টান দেয়। ক্যামেরা সহ জিবন বাঁচানোর চেষ্টাকালে সাংবাদিক বিকাশকে বেধড়ক মারধর করে রাস্তায় ফেলে দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।এসময়ে স্থানীয়রা এগিয়ে সাংবাদিকে প্রাণে রক্ষা করে এবং তারা তাদের ব্যবহৃত মটরসাইকেল নিয়ে আসতে ধরলে পেছন থেকে ঢিল ছুড়ে মারে হামলাকারীরা।
পরবর্তীতে সাংবাদিক বিকাশ স্বর্ণকার সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন,আমাদের সহযোদ্ধা দু’জন সাংবাদিক ভাই তথ্য সংগ্রহ কালে তাদের উপর বর্বর ও অমানবিক নির্যাতন ও মারধর করা হয়েছে এটি কোনভাবেই কাম্য নয়। তিনি তিব্র নিন্দা সহ নির্যাতনকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন প্রসাশনের প্রতি।
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিলাদুন-নবী অভিযোগের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।