• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নোয়াখালীতে নিখোঁজের একদিন পর বৃদ্ধের মরদেহ মিলল পুকুরে সুবর্ণচরে মোটর থেকে বৈদ্যুতিক তার খুলতে প্রাণ গেল যুবকের বাঁশখালীর খাটখালীতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিবাদ সমাবেশ নোয়াখালীতে ১৩ বান্ডেল জাল ডলার ও টাকা জব্দ, গ্রেপ্তার-১ আমতলীতে ভূমিদস্যু বাবুলের মিথ্যা মামলা ও অত্যাচারের প্রতিবাদে ভূক্তভোগিদের মানববন্ধন হালিশহর মেহের আফজল স্কুলের “বন্ধু মহল ৯০-৯১” এর পুনর্মিলনী ও প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন আমতলীর ইউএনওর বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচী পালন আল-বাখেরার নাবিক হত্যার খুনিদের গ্রেফতারে জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের আল্টিমেটাম, অন্যথায় নৌ পথে লাগাতার কর্মবিরতি  রাজশাহীতে গোদাগাড়ীতে ঘৌড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত  ভাবিকে খুন করে তাবলিগ জামায়াতে দেবর,অতঃপর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার

ডুমুরিয়ায় মহান বিজয় দিবসের বিজয় মেলার মাঠ পরিদর্শন করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া খুলনা থেকে:

বৃহস্পতিবার, ৫ডিসেম্বার দুপুরে মহান বিজয় দিবসে ডুমুরিয়া উপজেলার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠে মহান বিজয় দিবসের বিজয় মেলা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে।

মহান বিজয় মেলা মাঠ পরিদর্শন সময় উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন, রিসোর্স সেন্টারের ইন্সেক্টার মোঃ মনির হোসেন, ডুমুরিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাঁসি রাণী, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর আলম, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক জি এম আব্দুস সালাম,এস রফিক, ডেকেরোটার বাবুল সহ আরো অনেকে।

এবার জেলা-উপজেলা পর্যায়ে হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে। এর বদলে আয়োজন করা হচ্ছে ‘বিজয় মেলা’। প্রাচীন বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্য ফিরিয়ে বিজয় মেলায় থাকবে চারু, কারু ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্পপণ্য। মেলার পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করবে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।

সরকার বিজয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজনে বরাদ্দ বাড়িয়েছে গতবারের চেয়ে তিন গুণ। গত বছর এ খাতে বরাদ্দ ছিল তিন কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এ বছর বাড়িয়ে ৯ কোটি ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকা করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী।

গতকাল বুধবার তিনি বলেন, ‘এবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ হচ্ছে না। গত বছরও নির্বাচনের কারণে হয়নি। এ ছাড়া জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে হবে না। তবে এর বদলে হবে বিজয় মেলা।

গ্রামীণ বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্য নিয়ে এই মেলা হবে। এ জন্য অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পান ফারুক-ই-আজম (বীরপ্রতীক)।

সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব ইসরাত চৌধুরীর সভাপতিত্বে মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদযাপনসংক্রান্ত আন্ত মন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। সেখানে উপদেষ্টা জানান, এ বছর বিশেষ পরিস্থিতির কারণে কিছু কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। তবে বিজয় দিবস উদযাপনে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় বিজয় মেলা করা যেতে পারে।

ওই মেলায় চারু, কারু ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্পপণ্যের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখতে হবে। মেলায় থাকবে গ্রামীণ নানা ঐতিহ্যের সমাহার। তবে অন্যান্য বারের মতো এবারও জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সশস্ত্র বাহিনীর কোনো ধরনের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে হবে না। তবে প্রতিটি জেলায়-উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। এ ছাড়া আগের সব ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর মহান বিজয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রতিটি জেলার সদর উপজেলা ছাড়াও ৪৩২টি উপজেলায় ৭৫ হাজার টাকা করে মোট তিন কোটি ২৪ লাখ এবং প্রতিটি জেলায় এক লাখ করে ৬৪ লাখ টাকাসহ মোট তিন কোটি ৮৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এবার সেই বরাদ্দ বাড়িয়ে তিন গুণ করা হয়েছে। এবারের বিজয় দিবসের ব্যয় নির্বাহের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা বাবদ ৭৫ হাজার টাকা এবং বিজয় মেলা আয়োজন বাবদ এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। সদর উপজেলা ছাড়া বাকি ৪৩৫টি উপজেলায় মোট সাত কোটি ৬১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ ছাড় করেছে মন্ত্রণালয়।

এ ছাড়া প্রতিটি জেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা বাবদ এক লাখ টাকা এবং বিজয় মেলা আয়োজন বাবদ দেড় লাখ টাকা করে মোট এক কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফলে এ বছর মহান বিজয় দিবসের ব্যয় বাবদ মোট ৯ কোটি ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ছাড় করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ