রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভায় হট্টগোল ও হাতাহাতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সভায় এক শিক্ষার্থী নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করার পর তা নিয়ে এই সংঘাতের সূত্রপাত বলে সভার কয়েকজন দাবি করছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউ গভরমেন্ট ডিগ্রি কলেজে সভায় এই হট্টগোল হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউ গভরমেন্ট ডিগ্রি কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আসিফ মোস্তফা নেহাল ও কানিজ ফাতিমার উপস্থিতিতে একটি সভা হওয়ার কথা ছিল। পরে সেটি জায়গা পরিবর্তন করে কালেক্টরেট মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমন্বয়ক রাশেদ রাজন বলেন, সভার একপর্যায়ে সেখানে এসে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কেরা। ওই সময় বেসরকারি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাতিন মেহেদী নামে একজন নিজেকে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দাবি করলে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ফাতিন কখনোই রাজশাহীতে আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিল না।
রাশেদ রাজন বলেন, এসময় সেখানে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে তিন থেকে জন আহত হন। আহতদের একজন রাজশাহী কলেজের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা সোহেল রানা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে ছাত্রনেতা সোহেল রানা দাবি করেন, নিরাপত্তার কথা ভেবে সভাস্থল থেকে বের হয়ে আসেন তিনি। ফেরার পথে ২০ জন দুর্বৃত্ত তাঁর ওপর হামলা চালায়। এসময় তাঁকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি এবং লাঠি দিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়। হামলাকারীদের মধ্যে রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের দুই-একজন কর্মীও ছিলেন বলে দাবি করেন সোহেল রানা। বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
হামলা সম্পর্কে রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির বলেন, সোহেল রানা জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। তাঁর বিষয়ে নানান ধরনের অভিযোগ রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে মতভেদ থেকেই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ছাত্রদলের ওপর দায় চাপানোটা উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবি করেন আবির।
এ নিয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী মাসুদ জানান, হামলার বিষয়ে তারা এখনো কিছু জানেন না। কারো পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি।