রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর গোদাগাড়ি এলাকার হত্যা মামলার আসামি সেতাবুর রহমান বাবুকে গতকাল শনিবার উপজেলার হাবাস পুর থেকে গ্রেফতার করেছে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ।
মামলার বিষয়ে মামলার বাদি আসাদুজ্জামান মাসুম বলেন, গোদাগাড়ী থানার মোহাম্মদ আতাউর রহমানের ছেলে মোঃ সেতাবুর রহমান বাবু, মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে নাসির উদ্দীন নয়ন,রবিউল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা,আতাউর দেওয়ান এর ছেলে তরিকুল ইসলাম সাদ্দাম,দুরুল মুন্সি,আতাউর,আলমগীর, ডালিম এরা সবাই সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী,জবর দখলকারী দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দলের হয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জরিত।
আমার পিতা মৃত নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অংগ সংগঠন কৃষকদলের গোদাগাড়ী থানা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং দীর্ঘদিন ৬নং মাটিকাটা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
গত৩০/১২/২০১৮ ইং তারিখে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন আমার ভাই রবিউল সরকার কুসুম উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সহ আমার পিতা মৃত নজরুল ইসলাম মাটিকাটা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সকাল অনুমানিক ১১.২০ মিনিটে ভোট দিতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামীগন হাতে লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, রামদা, হাসুয়া লাঠি হকিস্টিক ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্র সস্ত্র লইয়া বাবু মেম্বারের নেতৃত্বে নাসির উদ্দিনের হুকুমে অন্যান্যরা
আমার ভাইকে এলোপাথাড়ী মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে এবং হত্যার হুমকি দেন।
তাদের মারপিঠে আমার ভাই পালাইয়া জীবন রক্ষা করে এবং আমার পিতাকে আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন বাসায় লইয়া যায়। সেই দিন থেকে তারা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র হাতে আমাদের বাড়ির চতুর্দিক ঘিরিয়া থাকে, আমার পিতাকে সহ আমাদের বাড়ীতে অবরুদ্ধ করিয়া রাখে এবং আমার পিতাকে চিকিৎসার জন্য মেডিক্যালেও যাইতে দেয় নাই।
অতপর ১/১/২০১৯ ইং তারিখ সন্ধ্যায় আমাদের বাড়ীতে আগুন দিয়া পোড়াইয়া দেবার চেষ্টা করে এবং ককটেল নিক্ষেপ করিয়া ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করে উল্লেখিত আসামীগন সহ আরও ২৫-৩০ জন ইট পাটকেল নিক্ষেপ করিতে থাকে এবং তারা বাড়ীঘর ভাংচুর করিয়া প্রায় ১,০০,০০০/-(একলক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন করে। এবং বাড়ীর মূল্যবান আসবাবপত্র চুরি করিয়া প্রায় ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকার মালামাল লইয়া যায়। সেই
সময় তারা বাড়ীর ভিতরে অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমার আহত পিতাকে পুনরায় তাদের হাতে থাকা লোহার রড, হকিস্টিক দিয়া এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করিয়া আমার পিতা মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।আসামীরা আমার পিতার মৃত্যু নিশ্চিত করিয়া আসামীরা চলিয়া যায়।
এবিষয়ে মামলা মোকদ্দমা করিলে আসামীরা পরিবারের সদস্যদের খুন করার হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশ থাকায় এবং আমার জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কারনে সেই সময়ে থানায় কোন মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টির আইনগত সুবিচার পাওয়ার জন্য, বর্তমানে সুষ্ঠ পরিবেশ বিরাজ করায় অত্র অভিযোগ দায়ের করি।
এই বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত অফিচার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সেতাবুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।