বিকাশ স্বর্নকার, বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়া সোনাতলায় নয়া উদ্ভাবিত ডায়াবেটিক রাইস ধান চাষে ব্যপক সাড়া ফেলেছে কৃষক মোহাম্মদ আলী। তিনি পরিক্ষা মুলক ভাবে ১একর জমিতে এ জাতের ধান রোপণ করেছেন। তবে হাড়ভাঙা পরিশ্রমের কারণে তার জমিতে ধানের হয়েছে বাম্পার ফলন। কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান,আমি এই উপজেলায় প্রথম এ জাতের ধান রোপণ করেছি হয়েছে ভালো ফলন। প্রতিনিয়ত জমির ধান এক নজর দেখার উৎসুক জনতার ভিড় লেগেই থাকে এবং অনেকেই জাতটির বীজ চেয়েছেন। যদিও চিকিৎসকরা ইতিপূর্বে ডায়াবেটিক আক্রান্ত রুগীদের পরামর্শ দিতেন,দুবেলা রুটি পরিমান মতো ভাত।
সম্প্রতি দেশে নতুন উদ্ভাবিত ধানের চালের ভাত তিনবেলা খেতে পারবেন ডায়াবেটিক রোগীরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছেন,নতুন উদ্ভাবিত ব্রি-১০৫ জাতটি শুধুমাত্র বোরো মৌসুমেই জমিতে রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে ২০২১সালে বীজটি উদ্ভাবিত হলেও ২০২৩সালে বীজ বোর্ডের ১০৯তম সভায় লো-জিআই সমৃদ্ধ উচ্চ ফলনশীল হিসেবে দেশজুড়ে চাষাবাদের জন্য অবমুক্ত করা হয়।বেশকিছু গুণাবলী রয়েছে জাতটির উল্লেখযোগ্য হলো,গাছটি লম্বাহয়,পাতা খাড়া,ধানের দানার রং খড়ের মতো চাল মাঝারি চিকন।
কৃষিবিদ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন,এই ধানের চালে জিআই এর পরিমাণ কম থাকায় এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা চালের ভাত খেতে পারে।জিআই তথা গ্লিসেমিক ইনডেক্স ৫৫,ভাতও ঝরঝরে এবং চিকন।এর ফলন ৭.৬ থেকে ৮.৫ টন/হেঃ প্রতি। আগামীতে এই ধানের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা মনে করি।