এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী চট্টগ্রাম থেকেঃ
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় বেকারী শ্রমিক শাহ আলম হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামী মাহাবুবর রহমান (৩০)কে খুনের ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশ। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার জবানবন্দি নিয়ে আসামী মাহাবুবকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাঁশখালী থানা পুলিশ।
২৩ ফেব্রুয়ারী’২৪ ইং শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীর অবস্থান নির্ধারন করে বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউপির ৩নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আসামী মাহাবুবুর রহমানকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২৩ ফেব্রুয়ারী শুক্রুবার ফজরের নামাজের সময় নিজ বাড়ি থেকে গিয়ে সে বেকারীতে ঢুকে, তখন নিহত ভিকটিম শাহ আলম ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। ঘুমন্ত অবস্থায় আসামী মাহাবুব গাছের গুঁড়ি দিয়ে মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাতের মাধ্যমে রক্তাক্ত জখমসহ হত্যা নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার বিষয়ে নিহত শাহ আলমের স্ত্রী রুবি আকতার বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করলে হত্যা মামলা হয়।
উল্লেখ্যঃ বাঁশখালী উপজেলা সদরস্থ ‘মায়ের দোয়া’ বেকারীতে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে একজন মহিলা শ্রমিক এর সাথে ভিকটিম শাহ আলমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। এই সর্ম্পক আসামী মাহাবুবুর রহমান বারবার বাঁধা দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহ আলম ও আসামী মাহাবুবুর রহমানের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। এ ঘটনার জের ধরে পরদিন ফজরের নামাযের সময় ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে হত্যা করে চলে যায় মাহাবুব।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামী নিজেকে জড়িয়ে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। এ ঘটনায় পরবর্তী তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে জানান তিনি।