বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-০২ এর আওতাধীন সোনাতলা জোনাল অফিসে আসা সকল গ্ৰাহককেই নিরলস ভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন পল্লীবিদ্যুৎ অফিস। এদিকে গ্ৰাহকেরা ঠিকঠাক সেবা পাচ্ছে কি-না তা নিয়মিত তদারকি করতে তার কার্যালয় তিনতলা থেকে নিচে নেমেই সেবা গ্রহীতাদের সমস্যার কথা শুনে থাকেন।
তিনি হলেন ওই অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার উত্তম কুমার সাহা। এতে করে গ্ৰাহকদের মাঝে তিনি হয়ে উঠেছেন জননন্দিত। সরেজমিনে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে গেলে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে আসা গ্ৰাহক মোঃ ইসমাইল হোসেন সহ আরো অনেকেই জানান,আগে বৈদ্যুতিক সম্পর্কিত অভিযোগ জানালে অফিস থেকে লোক যেতে বেশ সময় লাগতো বর্তমান তা আর লাগেনা এক ফোনেই অফিস হতে লোকজন বাড়িতে হাজির হয়ে সমস্যার সমাধান করে দেন।
ওই অফিসের বিল রিডারম্যান উজ্জল হোসেন বলেন,উত্তম স্যার যোগদানের পর থেকেই অফিস প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলেন স্যারের কাছে যে কোন বিষয়ে গেলে স্বাবলীন ভাবে সেটি সমাধান করে দেন। ওই অফিসের নৈশ প্রহরী শহিদুল ইসলাম বলেন উত্তম স্যার অত্যন্ত ভালো আমরা কোনো সমস্যা নিয়ে গেলে মুহূর্তেই সমাধান করা সহ আমাদের খোঁজ খবর নেন।
পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি বগুড়া -০২এর সভাপতি ও কলেজের প্রফেসর আঃ রউফ হিরু বলেন,আমি প্রতিনিয়তই অফিসে আসি এবং এই অফিসের সকলকেই তো কার্যক্রম সুচারুভাবে পালন করতে দেখি। তবে এই অফিসের প্রধান ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার উত্তম কুমার সাহার বিরুদ্ধে দু-একজন অপপ্রচারকারী দেখছি অযথা ইদানিং অপপ্রচার করছে সত্যিই এটি নিন্দনীয়।
তবে তাকে আমি কোন কাজে কোনো রকম উৎকোচ নিতে দেখিনি বা কারো কাছে শুনিনি। সমিতির গ্ৰাহকদের বলবো বিদ্যুৎ সম্পর্কিত কোন বিষয়ে দালালের কাছে না গিয়ে সরাসরি অফিসে আসবেন। বগুড়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-০২এর সোনাতলা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার উত্তম কুমার সাহা বলেন,পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক যে দ্বায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে সর্বদা অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন এখানে আমাদের ছয়টি ফিডার আছে তবে পৌরবাসীকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে একটি ফিডার আলাদা করা হয়েছে। সিষ্টেম লচ ১৩.১৫থেকে কমিয়ে ১১.২৪শে আনা হয়েছে,বকেয়া(.৮৩) থেকে কমিয়ে (.৫৬)তে এবং বিদ্যুৎ বিল আদায় ১০২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সকলের প্রচেষ্টায় ১২৬ শতাংশে উন্নিত হয়েছে। প্রতিনিয়ত গ্ৰাহককে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে ট্রান্সফরমার,লাইন,সহ সকল মেরামতের কাজ নিয়মিত করা হচ্ছে।