আবদুল হামিদ, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ভেজাল শিশুখাদ্য তৈরির অবৈধ কারখানা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল রঙ ও কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জুস, পাইপ আইসক্রিম, বিভিন্ন নামি-দামি ব্যান্ডের নাম নকল করে তৈরি করা হচ্ছে জেম-জেলী, বিভিন্ন ফলের ফ্লেভারে পাইপ জুস, অরেঞ্জ জুস, তেঁতুল পাইপ সহ আরও নানান বাহারী ধরনের শিশুখাদ্য।
এই সকল শিশু খাদ্য প্রকাশ্যে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে মধুপুর শহরের বিভিন্ন দোকানে। মধুপুর সাপ্তাহিক হাটে প্রায় ৩০টির মতো শিশুখাদ্য বিক্রির পাইকারী দোকান রয়েছে।
আর এখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও পাড়া মহল্লার দোকান গুলোতে। কোনো প্যাকেটের গায়ে খাদ্য তৈরি ও মেয়াদ উর্ত্তীন্যের তারিখ দেওয়া নেই। এই সকল শিশুখাদ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে ভেজাল রঙ ও কেমিক্যাল যা খেয়ে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল মাদ্রাসার কোমলমতি ছেলে মেয়েরাই এই সকল বাহারী ধরনের লোভনীয় শিশুখাদ্য খেয়ে থাকে।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও উপজেলা প্রশাসনের তদারকি না থাকার কারণে এ-সব শিশু খাদ্য আনাচে কানাচে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে এবং তা প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।
তাদের মতে, অবৈধ শিশুখাদ্য তৈরির কারখানা ও পাইকারী দোকানে দ্রুত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে না পারলে ভবিষ্যতে শিশুস্বাস্থ্য ব্যাপক হুমকির মুখে পড়বে।