মোঃ দিদারুল ইসলাম, কক্সবাজার থেকে:
কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার ফোরকান হাসপাতালে চাঞ্চল্যকর ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুতে তীব্র, ক্ষোভ নিন্দা ও সমালোচনার পর পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তদন্ত কমিটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী কনসালটেন্ট ডা, শাহানাজ পারভিনকে প্রধান করা হয়।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা জয়নাল আবেদীন, মেডিকেল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম, এস এস এন উম্মে বিলকিছ, মিডওয়াইফ ওম্মে সালমাহ। উক্ত তদন্ত কমিটিকে আগামী ০৭ কর্ম দিবসের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
উল্ল্যেখ্য ১০ই সেপ্টেম্বর পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লাঘোনা এলাকার সাহাব উদ্দীনের ছেলে গিয়াস উদ্দীন তার প্রসূতি স্ত্রী জোসনাকে নিয়ে ডেলিভারীর জন্য পেকুয়া সরকারি হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক তাকে একটি আল্ট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষা দেন, গিয়াস উদ্দিন তার স্ত্রীর আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার জন্য”ফোরকান হাসপাতাল” এ নিয়ে যায়।
ফোরকান হাসপাতাল কতৃপক্ষ আল্ট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষায় রিপোর্ট ভাল আছে জানালে গিয়াস উদ্দিন তার স্ত্রীকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে চাইলে, সরকারী হাসপাতালে ভাল চিকিৎসা বা সেবা পাবেনা, ভাল ডাক্তার নাই বলে জানিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে ফোরকান হাসপাতালেই সন্তান প্রসব করাতে বলে তার স্ত্রী জোসনাকে হাসপাতালের ডেলিভারি রুমে নিয়ে ডাক্তার ও নার্সগণ জোর জবরদস্তীর মাধ্যমে পাশবিক কায়দায় সন্তান প্রসব করানোর কারণে নবজাতক শিশু মৃত্যুবরণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নরমাল ডেলিভারিতে সাইট সিজারে জোসনাকে ১৫ টি সেলাই দিয়ে তার জীবন পঙ্গু করে দেন বলেও অভিযোগ করেন।
অনাকাংখীত দুঃখজনক ঘটনায় জড়িত থাকা ডাক্তার উম্মে হাবিবাহ, হাসপাতালের এমডি এম ফোরকান উদ্দীন, ডাক্তার গালিব, নার্স রিনা রানী সুশীল সহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালাতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন ও পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বারাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নবজাতকের পিতা গিয়াস উদ্দীন।