১১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

দুর্গাপুরে বিএনপির সভায় সংঘর্ষ নিয়ে প্রোপাগান্ডার অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক

তন্ময় দেবনাথ, রাজশাহী থেকে:

রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি সভায় হামলার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য জার্জিস হোসেন সোহেল। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

সোহেল বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক জোবায়েদ হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে যে অভিযোগ এনেছেন, তা “সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।”

তিনি জানান, গত ২৯ আগস্ট দুর্গাপুর উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি সভায় তিনি উপস্থিত থাকলেও সভা শেষে চলে যান। তাঁর প্রস্থান করার পর সভাস্থলে হট্টগোল শুরু হয়। এ বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে তাঁকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সোহেল বলেন, “সভায় জেলা কৃষক দলের সদস্য দুলাল হোসেন, উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আলাউদ্দিন ও উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আব্দুল হান্নানসহ কয়েকজন উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।’’

তিনি বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে জরুরি ফোন পেয়ে সভাপতিকে অবহিত করে আমি সভাস্থল ত্যাগ করি। এর এক ঘণ্টা পরে হট্টগোলের খবর জানতে পারি। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে আমাকে জড়ানো হয়েছে, যা প্রোপাগান্ডামূলক।”

তিনি আরও বলেন,‘তাঁর দল বা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। আমাকে হেয় করা এবং অপপ্রচার চালানোর জন্যই এমন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আমি জেলা বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের অনুরোধ করছি, প্রকৃত ঘটনা খতিয়ে দেখুন।”

সংবাদ সম্মেলনে দুর্গাপুর পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আয়নাল হক বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে জার্জিস হোসেন সোহেলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সভার সময় যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে, তা রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত।”

দুর্গাপুর পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, “প্রস্তুতি সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন। সেখানে ব্যক্তিগত বিরোধ বা হানাহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি সভায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক জুবায়েদ হোসেন, নওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলামিন হোসেন বিজয়সহ ১০ নেতাকর্মী আহত হন।

এ নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক জোবায়েদ হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে আজকের সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার প্রতিবাদ জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৪:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৭০

দুর্গাপুরে বিএনপির সভায় সংঘর্ষ নিয়ে প্রোপাগান্ডার অভিযোগ

আপডেট: ০৪:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তন্ময় দেবনাথ, রাজশাহী থেকে:

রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি সভায় হামলার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য জার্জিস হোসেন সোহেল। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

সোহেল বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক জোবায়েদ হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে যে অভিযোগ এনেছেন, তা “সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।”

তিনি জানান, গত ২৯ আগস্ট দুর্গাপুর উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি সভায় তিনি উপস্থিত থাকলেও সভা শেষে চলে যান। তাঁর প্রস্থান করার পর সভাস্থলে হট্টগোল শুরু হয়। এ বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে তাঁকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সোহেল বলেন, “সভায় জেলা কৃষক দলের সদস্য দুলাল হোসেন, উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আলাউদ্দিন ও উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আব্দুল হান্নানসহ কয়েকজন উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।’’

তিনি বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে জরুরি ফোন পেয়ে সভাপতিকে অবহিত করে আমি সভাস্থল ত্যাগ করি। এর এক ঘণ্টা পরে হট্টগোলের খবর জানতে পারি। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে আমাকে জড়ানো হয়েছে, যা প্রোপাগান্ডামূলক।”

তিনি আরও বলেন,‘তাঁর দল বা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। আমাকে হেয় করা এবং অপপ্রচার চালানোর জন্যই এমন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আমি জেলা বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের অনুরোধ করছি, প্রকৃত ঘটনা খতিয়ে দেখুন।”

সংবাদ সম্মেলনে দুর্গাপুর পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আয়নাল হক বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে জার্জিস হোসেন সোহেলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সভার সময় যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে, তা রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত।”

দুর্গাপুর পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, “প্রস্তুতি সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন। সেখানে ব্যক্তিগত বিরোধ বা হানাহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি সভায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক জুবায়েদ হোসেন, নওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলামিন হোসেন বিজয়সহ ১০ নেতাকর্মী আহত হন।

এ নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক জোবায়েদ হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে আজকের সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার প্রতিবাদ জানান।