বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া সোনাতলায় আবারো অসুস্থ্য গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ সেই আলোচিত কসাই জেলাল কসাই এর বিরুদ্ধে।
জেলাল কসাই উপজেলার জোরগাছা ইউনিয়নের চরপাড়ার বাসিন্দা। এ ঘটনাটি উপজেলার চরপাড়া হাটে। স্থানীয় ভাবে জানা গেছে সততা গোশত ভান্ডারের মালিক মোঃ জেলাল বেপারী নামের এক কসাইয়ের তিনি নানা সময়ে মরা গরু, অসুস্থ্য গরু জবাই করে গোশত বিক্রি করে আলোচনায় সমালোচনায় রয়েছেন।
তবে তথ্য সংগ্রহের জন্য গেলে ওই আলোচিত জেলাল কসাই সটকে পড়ে কিন্তু সেখানে বসিয়ে রাখে তার সমর্থিত এক বয়স্ক লোককে। যদিও ভিডিও ধারন করার বিষয়ে প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ্য গরুর মাংসগুলো নিয়ে চলে যান। এদিকে স্থানীয়রা জানান, গতমাসে ২৪শে জুলাই সোমবার সকালেও জেলাল বেপারী কসাই মরা গরুর গোশত বিক্রিকালীন সময়ে স্থানীয় ক্রেতারা তা ক্রয় করতে এসে বুঝতে পারে । সে সময়
মরা গরুর গোশত বিক্রির দায়ে তাকে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কুরশিয়া আক্তার।
এসময়ে কিন্তু তাকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বেড়িয়ে আসতে বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী এটি প্রতিফলিত হয়েছে জেলাল কসাইয়ের বেলায় তিনি আবারও অসুস্থ্য গরুর গোশত বিক্রি করে এসেছেন আলোচনায়। এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকিছু ব্যক্তি বলেছেন,ভাই আপনারা সাংবাদিক সমাজের দর্পণ তাই বেশি বেশি করে প্রচার করবেন যাতে করে প্রসাশনের নজরে এলে ওর দোকানটি যেন চিরদিনের মতো বন্ধ করে দেয়।এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলেছেন,তিনি অত্যন্ত বেপরোয়া নিয়ম নিতির কোন তোয়াক্কাই করে না।
অভিযুক্ত জেলাল কসাইকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি চরম রাগান্বিত হয়ে বলেন, আপনারা আমার কিছুই করতে পারবেন না যতখুশী লিখেন তাতে আমার কিছুই যায় আসেনা। এক প্রশ্নের উত্তরে জেলাল কসাই বলেন, হাঁ আমি অসুস্থ্য গরুর গোশত বিক্রি করেছি তো আপনার কি বলেই মুহূর্তে ফোনটির সংযোগ কেটে দেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুসরাত জাহান লাকি বলেছেন, জেলাল কসাইকে মরা গরুর গোশত বিক্রির দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ইতিপূর্বে জরিমানা করা হয়েছিল।
এ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভালো ভাবে হালাল পথে ব্যবসা পরিচালনার পরিবর্তে এবারো কদিনের ব্যবধানে অসুস্থ্য গরুর গোশত বিক্রি করছে। তিনি আরো বলেন বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।