স্টাফ রিপোর্ট:
শনিবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ চা বোর্ডের টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়াম সেন্টারের হল রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, দেশে চায়ের উৎপাদন আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে কোয়ালিটির দিক থেকে আমাদের কোথাও কোথাও কম্প্রোমাইজ করতে হচ্ছে। প্রতি বছর ঢাকায় চা দিবসের অনুষ্ঠান হলেও এ বছর চা শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চা বাগান মালিক ও শ্রমিকসহ প্রত্যক্ষ অংশীজনদের নিয়ে চায়ের রাজধানীতে জাতীয় চা দিবসের মূল অনুষ্ঠান হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ৯০ থেকে ৯৫ মিলিয়ন কেজি চায়ের চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদা দেশে উৎপাদিত চায়ের মাধ্যমেই পূরণ করা যাচ্ছে। চলতি বছর দেশে ১০০ মিলিয়ন কেজির বেশি চা উৎপাদন হবে। দেশে যেসব চা বাগান রয়েছে সেগুলোতে আগের তুলনায় চা উৎপাদন বেশি হচ্ছে। মোট উৎপাদনের প্রায় ১৯ শতাংশ চা দেশের উত্তরাঞ্চলে উৎপাদন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম শুধু বাংলাদেশেই বৃদ্ধি পেয়েছে এমনটা নয়। সারাবিশ্বে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক দেশের চেয়ে আমরা ভালো আছি। নিম্ন আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার সাবসিডি দিয়ে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে এক কোটি পরিবারের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করছে। এটি সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে।
এ সময় বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দেশে প্রথমবারের মতো আট ক্যাটাগরিতে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ বিতরণ করা হবে। সেগুলো হলো- ১. একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান-ভাড়াউড়া চা বাগান ২. সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান-মধুপুর চা বাগান ৩. শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক-আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টসলি ৪. শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী-মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট (পঞ্চগড়) ৫.শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চাবাগান-জেরিন চা বাগান ৬. বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি-কাজী অ্যান্ড কাজী টিএস্টেট লিমিটেড ৭. দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি-গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (৮) শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক)- উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান।